২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন এই খবরে উচ্ছ্বসিত কলকাতাবাসী। এখন আর ১০ ঘণ্টা নয় মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই কলকাতা থেকে ঢাকা পৌঁছানো যাবে। এতে করে বাণিজ্যিকভাবে দুই দেশই লাভবান হবে বলে আশা করছেন তারা। যাতায়াত সহজ হওয়ায় পর্যটন ও চিকিৎসা খাতে ব্যবসা বাড়বে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে পদ্মা সেতু একটা ‘সেতু’ হবে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর জানান, পদ্মা সেতু কেবলমাত্র বাংলাদেশের গর্ব নয়, এই সেতু উপমহাদেশের গর্ব। এটি স্থাপত্যের এক অভিনব নিদর্শন। কলকাতা-ঢাকার মধ্যেও সড়ক পথে সময় অনেক কমে যাবে। এটা দুই পারের মানুষের কাছেই বড় আনন্দের বিষয়। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যেও যাতায়াতের ক্ষেত্রেও দূরত্ব অনেক কমে যাবে। এতে ভারতও উপকৃত হবে।
পশ্চিমবঙ্গের সাবেক পরিবহণমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘সেতুর উদ্বোধন বা কোনো কারখানার উদ্বোধন- যেকোনো উদ্বোধন এর অর্থ হল তার মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হয়। আমরা আশা করবো যে এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।’
লেখক এবং কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা কলকাতা বুক সেলার্স এন্ড গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে সম্পর্ক সেখানে পদ্মা সেতু একটা সেতু হয়ে দাঁড়াবে।’
কলকাতা বইমেলার আয়োজন সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ও দেজ পাবলিকেশন এর কর্ণধার লেখক সুধাংশু শেখর দে বলেন, ‘খুবই আনন্দের বিষয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যে কাজটা করে গেলেন, তাতে মানুষ বাংলাদেশ থেকে কম সময়ে আসতে পারবে আমারাও অনেক কম সময়ের মধ্যে অনেক জিনিসপত্র বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসতে পারব, বাংলাদেশ নিয়ে যেতেও পারব। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই কাজকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
লোক সংগীতশিল্পী ও বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার জানান, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারতের সাথে নাড়ীর যোগাযোগ রয়েছে। এবং এই পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।’
তিনি আরও বলেন, কলকাতার মিনি বাংলাদেশ বলে খ্যাত নিউমার্কেটে বাংলাদেশ পর্যটকের ঢল নামবে। খুব কম সময়ে তারা দুই বাংলার মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই কেনাকাটাও বাড়বে।