করোনা সামাল দিতে পহেলা জুন থেকেই দেশটিতে চলছে টানা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) লকডাউন। প্রবাসীদের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে ২২ বছর পর এই প্রথম অর্থনীতি ও জিডিপি সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।
সব নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে ধীরে ধীরে কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর কুয়ালালামপুর, সেলেঙ্গর ও প্রশাসনিক এলাকা পুত্রাজায়া থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সাড়ে ৩ কোটির জনসংখ্যার দেশে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২৪ হাজার সংক্রামিত হচ্ছে। গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় ৫৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সরকার phase 1, phase 2 ও phase 3 বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়ন করে মালয়েশিয়া জনগণের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মহামারী ব্যাবস্থাপনার বিশেষ কমিটির এক বৈঠকে এ স্বিদ্ধান্তে পর্যায়ক্রমে অন্য রাজ্যগুলোকে Phase 1 এর আওতায় এনে মানুষজনের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করা হচ্ছে।
যারা ফুল ডোজ টিকা দিয়েছেন তারা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন, তাদের সন্তানদের দেখাশুনা করার জন্য। তাছাড়াও রাজ্যের খেলাধুলা, বিনোদনকেন্দ্র, পর্যটন স্পটগুলো খুলতে পারবেন। রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য ও বিতরণ খাতের জন্য, ফুল বিক্রেতাদের দোকান, নার্সারি ও হাউজিং গ্যালারিগুলো, নাপিত, হেয়ারড্রেসার এবং বিউটি সেলুন ইত্যাদি এত দিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়া হয়েছে।