শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন

জার্মানিতে ২০১৫ সালে আসা শরণার্থীদের বেশির ভাগই এখন শ্রমবাজারে

  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ মে, ২০২৪

২০১৫ সালে জার্মানিতে আসা শরণার্থীদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই এখন বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। তবে নারী শরণার্থীদের অনেকেই এখনও কর্মবিহীন রয়ে গেছেন।

ইন্সটিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চ- আইএবি-এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, আঙ্গেলা মের্কেলের ‘উন্মুক্ত প্রবেশ’ নীতির কারণে জার্মানিতে আসা বেশিরভাগ শরণার্থীই এখন কাজ খুঁজে পেয়েছেন৷

২০১৫ সালে আসা শরণার্থীদের ২০২২ সালে কর্মসংস্থানের হার ছিল ৬৪ শতাংশ৷ জার্মানদের ক্ষেত্রে এ হার ছিল ৭৭ শতাংশ৷

আইএবি জানিয়েছে, ২০১৫ সালে আসা শরণার্থীদের প্রায় ৯০ শতাংশই সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন৷ এখন তারা ঘণ্টায় গড় মজুরি পাচ্ছেন ১৩ ইউরো ৭০ সেন্ট৷

ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ ইউরোর চেয়ে এই হার বেশি হলেও, পুরো দেশের গড় বেতনের চেয়ে তারা অনেক কম মজুরি পাচ্ছেন৷

আইএবি বলছে, ‘‘প্রাতিষ্ঠানিক এবং ব্যক্তিগত নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে, আগমনের প্রথম বছরে শরণার্থীদের কর্মসংস্থানের হার এখনও ১০ শতাংশের কম৷’’

তবে কর্মসংস্থানের হার ধীরে ধীরে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা বলছে, ‘‘অভিবাসনের ছয় বছর পরে এই হার গড়ে ৫৭ শতাংশ, সাত বছর পরে ৬৩ শতাংশ এবং আট বছর বা তারও বেশি সময় থাকার পর ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছায়৷’’

দেশজুড়ে দক্ষতার ব্যবহার

জার্মানিতে কাজের সন্ধানের সময় শরণার্থীরা যেসব বাধার সম্মুখীন হয় তা চিহ্নিত করেছে আইএবি। এরমধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে চলাফেরার স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা এবং কর্মসংস্থানে নিষেধাজ্ঞা।

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকাকালীন আশ্রয়প্রার্থীরা সাধারণত কাজ করার অনুমতি পান না এবং এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক মাস সময় লাগে।

এছাড়া, ভাষাশিক্ষার ব্যাপারটিও একটি জটিলতা তৈরি করে।

জবস ফর রিফিউজিস এর প্রধান নির্বাহী ফ্রানৎসিসকা হিরশেলমান ইউরোনিউজকে জানিয়েছেন, ‘‘জার্মান সরকার নতুনদের জন্য B1 এর প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত ভাষা শেখায় অর্থায়ন করে৷ তবে এটি আরো জটিল এবং ভাল বেতনের চাকরির জন্য যথেষ্ট নয়৷

অন্য দেশ থেকে নিয়ে আসা যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি নিয়েও জার্মানিতে জটিলতা রয়েছে বলে জানান হিরশেলমান৷ তিনি বলেন, ‘‘যেখানে যুদ্ধ বা অন্য কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার সময়ও সনদ হারিয়ে যায়নি, সেসব ক্ষেত্রেও স্বীকৃতির পদ্ধতি প্রায়ই ব্যর্থ হয়। কারণ বেশিরভাগ দেশে (জার্মানির সঙ্গে) তুলনা করা যায়, এমন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রকল্প নেই এবং কিছু পেশার জন্য জার্মান ডিগ্রি থাকা প্রয়োজন৷’’

কোভিড-১৯ মহামারির সময় শরণার্থীদের কাজের অনিশ্চয়তা আরও বেড়ে গিয়েছিল৷ কারণ অভিবাসীদের বেশিরভাগই কাজ করতেন নানা পরিষেবা খাতে।

ইউরো নিউজ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com