রূপকথার গল্প এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তেমন পড়ে না। তাদের মনে রাজপুত্র, সোনার কাঠি, রূপোর কাঠি, পক্ষীরাজ ঘোড়া- এসব কোনও স্বপ্নের মায়াজাল বোনে না। তবুও পছন্দের জীবনসঙ্গী কেমন হবেন এই নিয়ে সব মেয়ের মধ্যেই কিন্তু ছোট থেকে অনেক রকম কল্পনা থাকে। সব সময় যে কল্পনার মানুষটির সঙ্গে বাস্তবের মুল হবে এমন কিন্তু মোটেই নয়। তবুও কোথাও গিয়ে ভবিষ্যতের মানুষটির জন্য সকলেই স্বপ্ন দেখেন। তাঁকে নিয়ে নানা পরিকল্পনা করেন। তাঁর সঙ্গে কেমন কাটবে প্রতিটা মুহূর্ত, কোথায় ঘুরতে যাবেন দুজনে, পছন্দ-অপছন্দ, মনের মিলই বা কতটা হবে এসব কিছু নিয়ে একটা ভালোবাসা মাখা ছবি সকলের মনের থাকেই। কেউ তাড়াতাড়ি খোঁজ পান এমন মানুষের আবার কাউকে বেশ দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। তবে শুধু কল্পনা করলেই হবে না। যাঁর সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর পরিকল্পনা করছেন তাঁর মধ্যে কিছু গুণ অবশ্যই দেখে নেবেন। সেই সঙ্গে এমনও কিন্তু নয় যে করোর সঙ্গে বনিবনা না হলেও জোর করে সেই সম্পর্কে থাকতে হবে। তাই দেখে নিন প্রেমিক-স্বামীর মধ্যে যে সব গুণ অবশ্যই দেখে নেবেন-
সততা- যে কোনও মানুষের প্রধান গুণ হল সততা। আর সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। তাই অবশ্যই দেখে নেবেন সেই মানুষ যেন সত হন। কথায় কথায় মিথ্যে বলা কিংবা সঙ্গীকে ঠকানো কিন্তু মোটেই ভালো অভ্যাস নয়। বিশ্বাস করেও কিন্তু ঠকতে হয়। তবুও প্রাথমিক ভাবে সততা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মানসিকতা- অর্থ, সম্মান সব থাকলেও মাসিকতায় মিল না থাকলে কিন্তু কোনও ভাবেই একসঙ্গে থাকা যায় না। দুজনে মিলেমিশে একসঙ্গে থাকতে চাইলে কিন্তু মানসিকতায়ও মিল থাকা প্রয়োজন। একেবারেই উল্টো মেরুর হলে মিলেমিশে থাকা কিন্তু মুশকিলের। আর তাই এই দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। মানসিকতায় মিল হলে তবেই সম্পর্ক সুখের হবে।
সন্তান চান কিনা- ধরা যাক আপনি দীর্ঘদিন একটা সম্পর্কে রয়েছেন এবং এরপর ভবিষ্যতের কথা ভাবতে চাইছেন। বার এমনও অনেকে আছেন যাঁরা দেখে শুনে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন। এই দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু কিছু বিষয় আগে থেকে পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। আজকাল অনেক দম্পতিই বিয়ের পর সন্তান চান না। আপনারাও কি সেই দলে? নইলে একজন চাইছেন আর অন্যজন চান না এমন হলে কিন্তু মুশকিল।