চিকিৎসা ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে যুক্তরাজ্যে আসার পথ উন্মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্সদের জন্য। ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে দক্ষ কর্মী আনার জন্য যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এরই অংশ হিসেবে টিয়ার টু ভিসা ক্যাপ থেকে নন-ইইউ ডাক্তার এবং নার্সদের আলাদা করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এতে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে দক্ষ পেশাজীবীদের আসার পথ অনেকটা উন্মুক্ত হবে, এমনটিই আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যখন হোম সেক্রেটারি ছিলেন, তখন এই ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে নন-ইইউ দেশ থেকে বছরে ২০ হাজার ৭০০র বেশি দক্ষ স্টাফ আনা যাবে না বলে নির্ধারণ করেছিলেন সাবেক হোম সেক্রেটারি। তবে নতুন হোম সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন আইন সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছেন সাজিদ জাভিদ। বার্ষিক ইমিগ্রেশন ক্যাপ থেকে ডাক্তার এবং নার্সদের বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হোম অফিস।
আইন শিথিলের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এনএইচএস। এনএইচএস ট্রাস্টগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার এবং নার্সদের চলমান সংকট সমাধানে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিরাট ভূমিকা রাখবে। হেলথ সেক্রেটারি জেরিমি হান্টও এই সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ও ভারতীয় চিকিৎসক ও নার্স কর্মরত রয়েছেন। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আরও বাংলাদেশি ডাক্তার ও নার্সের জন্য যুক্তরাজ্যে আসা সহজতর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।