যদি আপনার ইচ্ছা থাকে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হবেন তাহলে এখনই সেটা নিয়ে ভাবার উৎকৃষ্ট সময়। অনেকেই আন্ডারগ্রেডেই উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভাবতে থাকেন।
সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদনকারী শিক্ষার্থী কোথা থেকে আসছেন এবং তার রিকমেন্ডেশন লেটারে কী লেখা আছে সেদিকে অনেক গুরুত্ব দেয়। যে বিষয়ে যেতে চাচ্ছেন সে বিষয়ের জনপ্রিয়, পরিচিত কিংবা অনেক বেশি গবেষণা আছে এক্ষেত্রে, এমন কোন প্রফেসরের কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার নিতে পারলে ভালো। তাহলে কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রফেসর আপনার সম্পর্কে আগ্রহী হবেন। যদি স্নাতক শেষ করার সাথে সাথেই স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়ে যেতে চান তাহলে এমন প্রফেসরদের চিহ্নিত করুন যারা ভালো সুপারিশকারী হতে পারবেন এবং তাঁদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন। যারা পেশাজীবী তাদের জন্য অফিসের বস বা মেন্টর সুপারিশকারী হতে পারেন। যারা এখনও পড়ছেন তারা কমপক্ষে ২-৩ জন প্রফেসরের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করবেন। একই প্রফেসরের কাছে একাধিক কোর্স পড়লে সে সুযোগ কমে যাবে।
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য আপনাকে নিবন্ধ জমা দিতে হবে। এটি ভর্তি প্রক্রিয়ার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিবন্ধ লেখার স্কিল বাড়ানোর জন্য চর্চা করতে থাকুন। লেখায় নিজের স্বকীয়তা তৈরি করতে পারলে এটি আপনার যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ভালো নিবন্ধ লিখতে জানলে সহজেই প্রফেসরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।
যে পারসোনাল স্টেটমেন্ট আপনি পাঠাবেন সেখানে আপনি কোন কোন প্রজেক্টে যেতে চান, কী কী কাজ করতে চান সেসবে গুরুত্ব দিলে ভালো করবেন। যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেটি করার জন্য আপনার যেসব যোগ্যতা আছে তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না। পারসোনাল স্টেটমেন্ট হচ্ছে আপনি যে কাজটি করতে চান তার সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা। একে নিজের জীবনী বানিয়ে ফেলবেন না। পারসোনাল স্টেটমেন্ট একজন ভর্তি প্রত্যাশী হিসেবে আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে সহযোগিতা করবে। আপনার নিজস্ব গল্পটি কী ? ভাবুন। ভেবে সুন্দর একটি গল্প তৈরি করুন। যেখানে একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পেছনে আপনার প্রেরণা নিয়েও লেখা থাকবে।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনায় ভালো হওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু যোগ্যতা চায় যেমন – এক বা একাধিক বিদেশি ভাষায় দক্ষতা, পরিসংখ্যানে ভালো ধারণা অথবা বিজ্ঞানের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো দক্ষতা। আপনার বিষয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কী কী চাওয়া হয়েছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। আগে থেকেই এগুলো চর্চা করতে থাকুন। যদি আপনার আন্ডারগ্রেডে এইসব নাও থাকে, প্রয়োজনে এরকম কিছু কোর্স করে রাখুন। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যেতে আপনাকে ভালোই বেগ পেতে হবে। তাই আগে থেকেই আঁটঘাট বেঁধে নামুন। জয় আপনার হবেই।