সম্পর্কে আজকাল অনেক বদল এসেছে। নিজের মনের মতো করে জীবনটাকে গুঠিয়ে নেওয়ার মতো সাহস এবং সিদ্ধান্ত এখন অনেকেই নিতে পারেন। কেউ যেমন বিয়ে না করে সারা জীবন একা কাটিয়ে নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তেমনই অনেকে একা মা হওয়ার সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন। আবার কেউ যেমন লিভ ইন করেই সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাইছেন তেমনই অনেকে আবার বিয়ে করেও সন্তানের জন্য কোনও পরিকল্পনা করছেন না। দুজনের সম্পর্কে তাঁদের সন্তানের প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। এছাড়াও বিয়ে করলেও গতানুগতিক সংসারে প্রবেশ করতে চান না অনেক দম্পতিই।
বরং নিজের কেরিয়ার, নিজের স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যেতে যান তাঁরা। ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করতে হবে, ৩৫ এর মধ্যেই মেয়েদের মা হতে হবে এসব এখনও অনেকেই মেনে চললেও সেই ধারণা যে ভুল তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তবুও নব বিবাহিত দম্পতি দেখলেই ‘কবে সুখবর শোনাবি’ এমন প্রশ্ন কিন্তু করতে ছাড়েন না। এখনও বেশিরভাগেরই বিশ্বাস বিয়ের সঙ্গে সন্তান সম্পর্কিত। তবে যে সব দম্পতি সন্তান চান না তাঁরা কিন্তু নিজের মতো করে জীবনটাকে উপভোগ করার সুযোগ পান। আসলে আমাদের সমাজে এখনও সব সম্পর্ক মানেই তাতে কিছু না কিছু শর্ত থাকবেই।
দায়িত্ব অনেক কম থাকে- মা-বাবার যে প্রচুর দায়িত্ব থাকে তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। সন্তানের বেড়ে উঠতে দুজনকেই কিন্তু প্রয়োজন। তখন সেখানে কোথাও যেন নিজের সত্ত্বা হারিয়ে যায়। ‘অমুকের মা’ পরিচয়ে অনেকেই বাঁচতে চান না।
যখন খুশি ঘুরতে যাওয়া- ব্যাগ প্যাক করে বেরিয়ে যেতে কার না মন চায়! কিন্তু সব সময় সেই সুযোগটা থাকে না। কিন্তু সন্তানের বাড়তি দায়িত্ব না থাকলে নিজের মতো ঘোরা , বেড়ানো সব যায়।
টাকা জমানো যায়- সন্তানের জন্য একটা নির্দিষ্ট খরচ থাকে। আর তার জন্য কিছু টাকা আগে থেকেই সঞ্চয় করে রাখতে হয়। এছাড়াও মনে রাখতে হয় প্রতি মুহূর্তে যে সন্তানের জন্য আলাদা করে কিছু সরিয়ে রাখতেই হবে। কিন্তু সংসার বা সন্তানের বাঁধনে নিজেকে না আটকালে এই সমস্যাটা হয় না।