শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

যে কারণে সামুদ জাতির বসবাসের এলাকায় যেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পবিত্র কোরআন মাজিদে একটি সূরা রয়েছে যেটির নাম ‘সূরা হিজর’। ৯৯ আয়াতবিশিষ্ট এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল। কোরআন মাজিদের ১৫তম সূরা এটি। মূলত, এ সূরায় হিজরবাসীদের কথা আলোচনা হওয়ায় নাম ‘হিজর’ রাখা হয়েছে।

সৌদি আরবে ‘আলুয়া’ নামক একটি প্রাচীন রহস্যময় স্থান রয়েছে। এটি বহু শতাব্দী ধরে অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে । কিন্তু এখনও ইউনেস্কো এটিকে তার প্রাচীনতম ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই শহরকে হেগরা বা আল-হিজর বলা হয় । সোনা-রূপার প্রাচুর্যে মোড়ানো জীবন ছিল এই জনপদের মানুষের। তবে তারা এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিল না। তাই, তাদের কাছে নবী হয়ে এলেন সালেহ (আ.)।

তিনি তাদের মহান আল্লাহর পথে ডাকলেন। গুটিকয়জন ছাড়া কেউ তার ডাকে সাড়া দিল না। তারা তাদের প্রাসাদ, অর্থ ও বিলাসসামগ্রী নিয়ে গর্ব-অহংকার করতে লাগল।

তারা সালেহ (আ.)-এর কাছে নবী হওয়ার দলিল চাইল। তারা দাবি করল, আপনি যদি বাস্তবিকই আল্লাহর রাসুল হন, তাহলে আমাদের ‘কাতেবা’ নামের পাথরময় পাহাড়ের ভেতর থেকে একটি ১০ মাসের গর্ভবতী, সবল ও স্বাস্থ্যবতী উট বের করে দেখান।

সালেহ (আ.) মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিলেন। গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী উট বেরিয়ে এল পাথরময় পাহাড় থেকে। এ বিস্ময়কর মোজেজা দেখে কিছু লোক তৎক্ষণাৎ ইমান আনলেও অনেকে বিরত থাকল। এই উট হত্যা করতে তাদের নিষেধ করা হয়েছিল। তারা অবাধ্য হয় এবং উটটিকে শেষমেষ হত্যা করে।

এরপরই মহান আল্লাহ তাদের ওপর গজব নাজিল করেন। ভূমিকম্পের মাধ্যমে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেল সামুদ জাতি। এ সূরার ৮০ থেকে ৮৪ নম্বর আয়াতে এ ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও রয়েছে।

বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি সভ্যতার বাস ছিল এই অঞ্চলে যা পরিচিত ছিল নবতায়িয়ান সভ্যতা নামে। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ বর্ষ থেকে শুরু করে পরবর্তী ২০০ বছর টিকেছিল এই সভ্যতা।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলেছেন, পাহাড় খোদাই করে স্থাপত্যশিল্প নির্মাণ করা কোন সাধারণ মানুষের কাজ নয় ।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাবুকের যুদ্ধে যাওয়ার সময় যখন এই স্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি সাহাবাকে এই নির্জন স্থানে বিশেষভাবে দেখিয়েছিলেন। তিনি তাদেরকে সেই এলাকায় শুধুমাত্র একটি কূপ থেকে পানি পান করতে বলেছিলেন। যেটি একসময় হযরত সালেহ (আ.) ব্যবহার করতো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদেরকে ওই এলাকা থেকে অন্য কিছু খাওয়া বা পান করতে নিষেধ করেছিলেন এবং দ্রুত সেই এলাকা ত্যাগ করতে আদেশ করেছিলেন। কারণ এটি আল্লাহ তায়ালার গজবকৃত স্থান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com