গত ২০১৬ সালের পর অনিয়মিত উপায়ে সর্বোচ্চ সীমান্ত পারপার ঘটেছে ২০২২ সালে। বিপজ্জনক উপায়ে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশিদের অবস্থান ছিল তৃতীয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমান্তরক্ষী বাহিনী ফ্রন্টেক্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, গত বছর অনিয়মিত উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টা ২০২১ সালের তুলনায় ৬৪ শতাংশ বেড়েছে৷ ২০২২ সালে মোট তিন লাখ ৩০ হাজার অনিয়মিত সীমান্ত পরাপার শনাক্ত করেছে ফ্রন্টেক্স, যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ৷
টানা দ্বিতীয় বছর ধরে সীমান্তে অনিয়মিত প্রবেশের চেষ্টার সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে ফ্রন্টেক্স বলেছে, গত বছর অভিবাসীদের পারাপারের ৪৫ শতাংশই ঘটেছে পশ্চিম বলকান অঞ্চলে৷ অর্থাৎ, বসনিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া, সার্বিয়া ক্রোয়েশিয়া হয়ে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন৷ এই পথে এক লাখ ৪৫ হাজার পারপারের ঘটনা ঘটেছে। এই সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১৩৬ শতাংশ বা প্রায় তিনগুণ বেশি৷
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়া বা টিউনিশিয়া থেকে অভিবাসীরা বিপজ্জনক উপায়ে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টা করেন৷ উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে এশিয়ার অনেক দেশের অভিবাসীরাও এই পথে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছেন৷ গত কয়েক বছর ধরেই এই তালিকার শুরুর দিকে আছেন বাংলাদেশিরা৷
গত বছর এই পথে এক লাখের বেশি সীমান্ত পারাপারে ঘটনা শনাক্ত করেছে ফ্রন্টেক্স, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৫১ শতাংশ বেশি৷ ২০২২ সালে বিপজ্জনক এই সমুদ্র পারাপারে শীর্ষে ছিলেন মিশর ও তিউনিশিয়ার নাগরিকেরা৷ এরপরই তৃতীয় অবস্থানে আছেন বাংলাদেশিরা৷
ফ্রন্টেক্স বলছে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী লিবিয়া থেকে ইউরোপে এসেছেন৷ তিউনিশিয়া ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।