শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
Uncategorized

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও চকলেটের দেশ সুইজারল্যান্ড

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২

এটা সুপরিচিত যে সুইজারল্যান্ডে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাংক, নানা ধরণের চকলেট এবং আল্পস পর্বতমালা।

অনেকেই বলে থাকেন ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড সবচেয়ে সুন্দর। পাহাড়, পর্বত, লেক, ভ্যালি এবং এ্যালপাইন বনাঞ্চল ঘেরা এই দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার।

১.

অনেক ধরণের চকলেটের স্বাদ গ্রহণ করতে চাইলে আপনাকে যেতে  হবে সুইজারল্যান্ডে। ইউরোপের এই দেশটিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চকলেট উৎপাদিত হয়। বিশ্বমানের চকলেট উৎপাদনে কেউই সুইজারল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। শুধু চকলেট উৎপাদন নয়, চকলেট খাওয়ার দিক দিয়েও তারা প্রথম দিকেই থাকবে। সুইসরা অন্য যেকোন দেশের লোকের তুলনায় চকলেট বেশি খেয়ে থাকেন। প্রতি বছর একেকজন সুইস প্রায় ১১ কেজি চকলেট খান!  চকলেট রপ্তানিতেও সুইজারল্যান্ড শীর্ষে।

২.

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের অধিবাসীরা বেশ সচেতন। বিশ্বব্যাপী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের প্রযুক্তি আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান ক্লাইমওয়ার্কস কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের প্রযুক্তি আবিষ্কার করে সেগুলো দিয়ে শাকসবজি উৎপাদনের কাজে লাগাচ্ছে।

এছাড়াও দেশটিতে ৩৯ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এবং ৫৬ শতাংশ আসে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।

৩.

আপেক্ষিকতার সূত্র ‘ই ইকুয়েল্টু এমসি স্কয়ার (E= mc2)’ বিজ্ঞানের ছাত্ররা ছাড়াও অনেকেই জেনে থাকবেন। পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সুইজারল্যান্ডে বসেই আপেক্ষিকতার বিখ্যাত এ সূত্রটি আবিষ্কার করেছিলেন।

৪.

বিজ্ঞানের বিষয় এবং গণিতে সুইসরা অন্যান্য ইউরোপিয়ানদের চেয়ে বেশি পারদর্শী। সুইস কিশোর-কিশোরীরা ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী মূল্যায়নের প্রতিযোগিতায় (PISA Survey  2015) গণিতে সারা বিশ্বের মধ্যে ৮ম এবং সমগ্র ইউরোপের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে।

৫.

সুইজারল্যান্ডে ডিভোর্সের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি। এখানে প্রতি ১০০০ জন বিবাহিত দম্পতির  মধ্যে ৪৩০ জন দম্পতি সম্পর্ক শেষ রক্ষা করতে পারেন না, পরিণতি গড়ায় ডিভোর্সে।

৬.

সুইস সংবিধান অনুয়ায়ী পুরুষ নাগরিকদের ১৮ বছর বয়সের পরে দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়, তবে মহিলাদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক নয় এবং তারা চাইলে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব বেছে নিতে পারেন।

৭.

সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা চাইলে আইনের পরিবর্তন করতে পারেন। যদি তারা সংশ্লিষ্ট আইনের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের মধ্যে ৫০,০০০ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারেন তবে একটি জাতীয় ভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং ভোটাররা আইনটি গ্রহণ করবেন নাকি প্রত্যাখ্যান করবেন কিনা তা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

৮.

সুইজারল্যান্ডকে বলা হয় ক্ষুদ্র পর্বতময় দেশ। ইউরোপের বিখ্যাত আল্পস পর্বতমালা দেশটির সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ১২০০ কিলোমিটার উচ্চতার আল্পস আটটি দেশজুড়ে বিস্তৃত। এ আটটি দেশ হলো: অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, ইতালী, লিচেনস্টেইন, মোনাকো, স্লোভেনিয়া, জার্মানি, এবং সুইজারল্যান্ড।

৯.

শিক্ষকতা সুইজারল্যান্ডে সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা হিশেবে গণ্য করা হয়। শিক্ষকদের বেতন অন্যান্য পেশার তুলনার বেশি। এখানে একজন শিক্ষক সপ্তাহে ২৫ ঘন্টা কাজ করে ২৫০০ মার্কিন ডলার আয় করেন।

১০.

সুইজারল্যান্ডের সবখানে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পাওয়া যায়। দেশটির প্রতিটি শহরেই সুপেয় পানির কল রয়েছে। চলার পথে ক্লান্ত হলে বা পিপাসা লাগলে কল খুলে পানি পান করে তৃষ্ণা মেটান দেশটির বাসিন্দারা।

১১.

সুইজারল্যান্ডে প্রায় ১৫০০ লেক রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, দেশটিতে গেলে আপনার আশপাশের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে আপনি কোথাও না কোথাও একটা লেক পেয়ে যাবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com