শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে সিলেটে পর্যটন খাতে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩

ভ্রমণপিপাসুদের টানতে বৃহত্তর সিলেটে পর্যটন স্পটের কোন কমতি নেই। সিলেটে যেন বাংলাদেশের উত্তর পুর্বাঞ্চলের শিল্পীর তুলির দৃষ্টিনন্দন এক ক্যাম্পাস । যে ক্যাম্পাসে রয়েছে মেঘ পাহাড়ের আলিঙ্গন, নীল জলরাশি কিংবা চা বাগানের সবুজ সমারোহ।

সেই সাথে দেশের একমাত্র জলারবন রাতারগুল কিংবা ভারত সীমান্তু লাগুয়া জাফলং, বিছানাকান্দি সবসময়ই পর্যটকদের কাছে পছন্দের শীর্ষে। পর্যটন মৌসুম বিশেষ করে ডিসেম্বরে এখানে বাড়ে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা।

পর্যটকরা জানান, ‘শহরে আসলে আমরা একপ্রকার বন্দি থাকি, কোথাও সবুজ দেখা যায় না। সিলেটে আসলে পাহাড় ও সবুজ সবই দেখা যায়, তাই এখানে আসলে আমাদের অনেক ভালো লাগে।’

আরেক পর্যটকরা জানান, ‘অন্য কোথাও ঘুরতে গেলে হয়তো দু’একটি স্থান দেখা যায়, কিন্তু সিলেটে ঘুরতে আসলে একই সঙ্গে অনেক সুন্দর স্থান দেখা যায়।’

করোনা আর বন্যায় একদমই স্থবির হয়ে পড়েছিল সিলেটের পর্যটন খাত। সম্প্রতি সিলেট অঞ্চলে বেড়েছে পর্যটকদের আনোগোনা। ফলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা, এবার আশার আলো দেখছেন শ্রহট্টের পর্যটন নিয়ে। ডিসেম্বরে বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিনদিনের সরকারি ছুটি আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠার বন্ধ থাকায় কয়েক লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা তাদের। আর তাতেই পর্যটন খাত থেকে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ব্যবসায়ীদের।

প্রকৃতিকণ্যা সিলেটের অর্থনীতির বড় অংশ পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বিগত বছর গুলোতে করোনা ও বন্যায় শত কোটি টাকার লোকশানে ছিলেন এ অঞ্চলের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ কারীরা। হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার দেশীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও আসছেন বেশ। আশা করা হচ্ছে এবার অন্তত ৫ লাখ পর্যটক আসবেন সিলেটে। করোনা আর বন্যায় ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা করা হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টের ম্যানেজার মো. নিয়াজ হোসাইন বলেন, আমাদের পুরো ডিসেম্বরের বুকিং হয়ে গেছে। এছাড়া জানুয়ারিরও অনেক বুকিং হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মৌসুমটা নিয়ে আশাবাদি।

শ্রীমঙ্গলে নভেম রিসোর্টের ম্যানেজার মামুন রশিদ বলেন, শ্রীমঙ্গলে প্রচুর বিদেশীদের আনাগোনা আছে। করোনায় আমাদের যে ধকলটা ছিলো সেটা আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠছি।

শ্রীমঙ্গলের গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গল্ফের জেনারেল ম্যানেজার আরমান খান বলেন, আগের থেকে আমাদের দেশের মানুষ এখন ছুটি পেলেই ঘুরতে যাচ্ছে। তাই আগের থেকে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে।

সিলেটের গেষ্টহাউজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এ টি এম শোয়েব বলেন, আমরা আশা করছি সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে এই মৌসুমে ভালো ব্যবসা করবো।

হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ থেকে এবার অন্তত ৩০০ কোটি টাকারও বেশি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পর্যটন খাত থেকে।

এদিকে সিলেটে আগত পর্যটকদের নির্বিঘ্নে চলাফেরা ও সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে মাঠে তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশও।

জাফলং ট্যুরিষ্ট পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এইচ এম ইমন বলেন, আমরা সবস্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। যাতে পর্যটকরা এখানে এসে নিরাপদে ঘুরতে পারে সেই লক্ষ্যে পুলিশ সজাগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com