প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি সূত্রে ভারতের সৌরভের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশী নারী সোনিয়া আখতারের। ২০১৭ সাল থেকে পরিচয়ের পর এক পর্যায়ে ২০২১ সালে ইসলাম ধর্মমতে বিয়েও করেন। বর্তমানে তাদের কোলজুড়ে একটি সন্তান আছে। তবে ২০২১ সালেই সোনিয়াকে রেখে সৌরভ ভারত চলে যান। এর পর থেকে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না সৌরভ।
এদিকে স্বামীর সন্ধান পেতে সন্তানসহ ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের নয়ডা শহরে গিয়েছেন সোনিয়া আখতার। সেখানে গিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি।
পুলিশকে সোনিয়া জানিয়েছেন, তার স্বামী সৌরভ কান্ত তিওয়ারি ২০২১ সালে ঢাকায় তাকে ত্যাগ করে নিজ এলাকা নয়ডায় ফিরে এসেছেন।
সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে থাকতেই ভারতে এসেছেন তিনি।
নয়ডা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাজীব দীক্ষিত বলেন, ‘বাংলাদেশের ওই নাগরিক প্রথমে নয়ডার মহিলা থানায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, সৌরভ কান্ত তিওয়ারির বাড়ি নয়ডার সুরাজপুর এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে,‘ওই বাংলাদেশি নারীর অভিযোগ, ভারতে ফেরার পর আর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি সৌরভ। যে নথিপত্র তিনি আমাদের দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তার অভিযোগের সত্যতা রয়েছে।
প্রাথমিক খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, সৌরভ আগে থেকেই বিবাহিত। বাংলাদেশে যাওয়ার আগে এখানে বিয়ে করেছিলেন তিনি এবং ওই ঘরে তার দুই সন্তানও রয়েছে।’
নয়ডা পুলিশকে ইতোমধ্যে নিজের পাসপোর্ট, ভিসার ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কিত নথিপত্র জমা দিয়েছেন সোনিয়া। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে নয়ডা পুলিশের নারী ও শিশু নিরাপত্তা শাখা ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাজীব দীক্ষিত।
সোমবার নয়ডা থানায় সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোনিয়া আখতার বলেন, ‘সে (সৌরভ কান্ত তিওয়ারি) এখন আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করতে চাইছে না, আমাকে তার ঘরেও তুলতে চাইছে না। আমি একজন বাংলাদেশি। প্রায় তিন বছর আগে আমরা বিয়ে করেছি। আমি কেবল আমাদের সন্তানসহ তার সঙ্গে থাকতে চাই।’