অরুনিতা কাঞ্জিলাল, বর্তমানে এই নামটার সাথে আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত। এতদিন অরুনিতা কেবল বাংলার মেয়ে ছিল তবে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে প্রতিযোগী হিসেবে যাওয়ার পর সে এখন গোটা দেশের মেয়ে। নিজের সুরেলা কন্ঠে অরুনিতা জয় করে নিয়েছে দেশবাসীর হৃদয়। আর সেই কারণেই ইন্ডিয়ান আইডলে ফার্স্ট রানারআপের শিরোপা পেয়েছেন তিনি। গত 15 ই আগস্ট শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান আইডলের জার্নি। দশ মাসের সুরেলা সফর শেষ করার পর কটা দিন বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বাড়ি বনগাঁয় ফিরেছে অরুনিতা। তবে নিজের প্লেব্যাক সিঙ্গার হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খুব শীঘ্রই আবার স্বপ্ননগরী মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবে সে। তাই লম্বা একটা লড়াইয়ে নামার আগে এই কটা দিন পরিবারের সাথে একটু সময় কাটিয়ে নিতে চাইছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে থাকা পবনদ্বীপের সাথে অরুনিতার বন্ধুত্ব নিয়ে শুরু হয়েছিল চর্চা। দুজনের ডুয়েট পারফরম্যান্সে বহুবার নজর কেড়েছেন বিচারকদের। এমনকি অরুনিতা এবং পবনদ্বীপের প্রেমের অ্যাঙ্গেলও তৈরি করা হয়েছিল শোতে। তবে অনেকের মতে সেটা কেবলমাত্র শো এর টিআরপি বাড়ানোর টেকনিক মাত্র। যদিও পবনদ্বীপ এবং অরুনিতার সম্পর্ক সত্যি নাকি পুরোটাই সাজানো তা বলবে ভবিষ্যৎ। তবে তারা যে একে অপরের খুব ভালো বন্ধু সে কথা নিজেদের মুখেই বারবার স্বীকার করেছেন এই দুই প্রতিযোগী। এবং ভবিষ্যতে একে অপরের বন্ধু হয়ে থাকতে চায় তারা।
ইন্ডিয়ান আইডলের অভিজ্ঞতার বিষয়ে বলতে গিয়ে অরুণিতা বলেন, এত বড় বড় শিল্পীরা আমাদের শো’তে এসেছে। তাদের সামনে যে আমি গান গাইতে পারব তা আমি স্বপ্নেও কোনোদিন ভাবি নি। স্বয়ং আশা ভোঁসলে থেকে এ আর রহমান সকলেই অরুনিতার গায়কীর প্রশংসা করেছিলেন। যদিও প্রথম হতে পারেনি অরুনিতা, এবারের ইন্ডিয়ান আইডলের বিজয়ী হয়েছেন পবনদ্বীপ তবে সেই বিষয়ে কোনো রকম দুঃখ নেই অরুনিতার। পবনদ্বীপ বিজয়ী হওয়ায় তাঁর এতটুকুও আফসোস নেই। অরুণিতা বললেন, ‘কখনও মনে হয়নি, আমরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। সবাই গানটাকে ভালোবেসেই কাজ করতাম। পবনদ্বীপের সাথে সবচেয়ে বেশি ডুয়েট গেয়েছি আমি …ফাইনালে যাঁরা ছিল প্রত্যেকেই বিজয়ী হওয়ার যোগ্য। পবনদীপ জয়ী তাতে আমরা সকলে খুশি, অন্য কেউ হলেও একই প্রতিক্রিয়া থাকতো’।
এদিকে যখন তার গানের এত প্রশংসা, তখন প্রেমের প্রস্তাব কি পাচ্ছেন অরুনিতা? এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন শুনে মুচকি হেসে ফেললেন ইন্ডিয়ান আইডলের ফার্স্ট রানারআপ। অরুনিতা বললেন, ‘প্রচুর আসে, ই-মেলে তো লোকজন সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেখানে বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর দিয়ে লিখে দেয়। বলে, তোমায় বিয়ে করব… এগুলো দেখে কিন্তু খুব মজা লাগে’। তবে আপাতত নিজের কেরিয়ারের দিকেই ফোকাস করতে চাইছেন অরুনিতা। ইন্ডিয়ান আইডল থেকে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে তবে সামনে একটা মস্ত বড় লড়াই। বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বনগাঁর এই মেয়েকে। দর্শকরা যে বিশ্বাস তার প্রতি দেখিয়েছে তার মর্যাদা রাখতে হবে আর তাই এখন সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চায় অরুনিতা।