শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতে শেখ হাসিনার ১০০ দিন : কীভাবে রয়েছেন আওয়ামী পলাতকদের পাচার করা শত কোটি টাকার খোঁজে ভারতে ইডির ১৭ স্থানে অভিযান দুবাইতে প্রথম আকাশযান ভের্টিপোর্ট শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল ১৫ বছর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে জাপানের ৬ প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ লাখ শ্রমিক প্রয়োজন লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ৩৫০টির বেশি প্রোগ্রামে পড়াশোনা, স্কলারশিপের সুবিধা ফিটস এয়ারে বড় ছাড়, ২৮ হাজারে শ্রীলঙ্কার রিটার্ন ফ্লাইট সাধ্যের মধ্যে আন্দামান : যে কথা বলে না কেউ ক্রোয়েশিয়ায় কাজ করার জন্য ভ্রমণ বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ অনেকের কাছে আকর্ষণীয় আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপে মাস্টার্স-পিএইচডি চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে

যুক্তরাজ্যে দ্বৈত নাগরিকত্বে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের

  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে গত এক দশকে দ্বৈত নাগরিক বা একাধিক পাসপোর্টধারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে দ্বৈত নাগরিকের সংখ্যা বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ ব্রেক্সিট।

অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস)-এর আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস মিলিয়ে ছয় লাখ ১২ হাজার মানুষের কাছে দ্বৈত বা একাধিক পাসপোর্ট ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা ১২ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত হয়।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা গেছে, ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের পাসপোর্টধারী নাগরিকের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

১০ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ-ইইউ দ্বৈত পাসপোর্টধারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। আর যুক্তরাজ্যের বাইরে জন্ম নেওয়া দ্বৈত পাসপোর্টধারীর সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার।

২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ব্রিটিশ এবং আইরিশ পাসপোর্টসহ যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে।

ওএনএস-এর কর্মকর্তা জে লিন্ডপ বলেন, গত এক দশকে অভিবাসন অর্থাৎ ইইউ থেকে অনেক মানুষ যুক্তরাজ্যে স্থানান্তর হওয়ায় এই সংখ্যাটা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বসতি স্থাপন করা পরিবারগুলোতে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর আমরা অল্প বয়সীদের মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি।

ওএনএস জানিয়েছে, দ্বৈত নাগরিকদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য সুস্পষ্ট। যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ-ইইউ পাসপোর্টধারীদের বয়স তুলনামূলক কম এবং ব্রিটিশ-আইরিশ পাসপোর্টধারীদের বয়স তুলনামূলক বেশি।

যুক্তরাজ্যে জন্ম নিয়েছে এবং ব্রিটিশ-ইইউ পাসপোর্ট রয়েছে, এমন নাগরিকদের মধ্যে ৬০ শতাংশেরই বয়স ১৬ বছরের কম। আবার যুক্তরাজ্য এবং নন-ইইউ পাসপোর্ট রয়েছে, এমন লোকদের মধ্যেও এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১৬ বছরের কম।

লিন্ডপের মতে, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া, অর্থাৎ ব্রেক্সিটের পর অবাধ চলাচলের সুযোগ কমে আসায় নাগরিকদের মধ্যে দ্বৈত পাসপোর্ট নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

২০১৬ সালে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যায় যুক্তরাজ্য।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com