দুই বছর বয়সে শিশুরা সাধারণত মিষ্টি কথা আর ছোটাছুটিতে বড়দের আদর কেড়ে নেয়। কিন্তু এই বয়সেই ইসলা ম্যাকনাব এক অনন্য স্বীকৃতি অর্জন করে ফেলল। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্টাকিতে বসবাস করা এই মেয়েটি সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে উচ্চ বুদ্ধিমত্তার মানুষদের মেনসা সোসাইটিতে ঠাঁই করে নিয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ২ শতাংশ মানুষের ক্লাব বলা হয় এই সোসাইটিকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেয়ের সাফল্যের কথা জানান ইসলার বাবা-মা।
এ বিষয়ে রোববার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলা ম্যাকনাবের বাবা জ্যাসন এবং মা আমান্ডা ম্যাকনাব সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ওয়েবসাইটকে জানান—তাঁদের মেয়ের বুদ্ধিমত্তাকে একবার মূল্যায়ন করে দেখা উচিত। দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকীতে ফুফুর কাছ থেকে ইসলা একটি ডিজিটাল স্লেট উপহার পাওয়ার পর এমন চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
জ্যাসন জানান, তিনি স্লেটের ওপর লিখেছিলেন ‘রেড’। আর ইসলা তা অবলীলায় পড়ে ফেলল! শুধু তাই নয়, দেখা গেল—যে কোনো শব্দই বানান করে পড়ে ফেলতে পারছে সে। বিষয়টি অস্বাভাবিক। কারণ শিশুরা সাধারণত যে বয়সে বানান করে কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে পারে তার থেকে ইসলার বয়স অন্তত ৩ থেকে ৪ বছর কম।
ব্লু, ইয়েলো, ক্যাট, ডগ—যে শব্দই লেখা হোক না কেন, ইসলা তা বানান করে পড়তে পারছে দেখে হতভম্ব হয়ে যান তার বাবা-মা। একপর্যায়ে ইসলাকে নিয়ে এক শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান তাঁরা।
ইসলার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর এবং কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, এত অল্প বয়সে সে যেসব পরীক্ষায় উতরে গেছে—তার চেয়ে বড়রাও সেগুলোতে আটকে যায়। ইসলাকে তিনি ‘সৃষ্টিকর্তার বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট’ হিসেবে আখ্যা দেন।
পরবর্তীতে স্ট্যানফোর্ড-বিনেট আইকিউ পরীক্ষায় অংশ নেয় ইসলা। সেই পরীক্ষায় ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে নিজের উচ্চ বুদ্ধিমত্তার চূড়ান্ত প্রমাণ রাখে সে। এরই ধারাবাহিকতায় মেনসা সোসাইটিতে মেনসার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই সোসাইটিতে বর্তমানে পৃথিবীর উচ্চ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের নাম তালিকাভুক্ত আছে।