সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে খবর দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশে। ভারতীয় বায়ু সেনা, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স এবং ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিকেও সতর্ক করা হয়। তৈরি করা হয় বিশেষ কমিটি। বায়ু সেনার জন্য জারি করা হয় হাই অ্যালার্ট।নিয়ম অনুযায়ী, সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয় বিমানবন্দরে। সংশ্লিষ্ট সমস্ত সংস্থাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, যাত্রী, বিমান ক্রু এবং পাইলটের নিরাপত্তা সবার আগে।
বিমানবন্দরে যখন এসব চলছে তখন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের কাছে ফের একটি বার্তা আসে। এবারে পাইলট জানান, ভুলবশত হাইজ্যাকের খবর দেওয়া হয়েছিল। এখানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। কারণ তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পাইলট হয়তো চাপের মাথায় ভুল বার্তা পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন।
রাত ৯.৪৭ মিনিটে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইট। গোটা বিমানবন্দরে তখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। মোতায়েন করা হয় এনএসজি কম্যান্ডো-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবতরণের পরেই বিমানটিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় তল্লাশি। যখন দেখা যায়। কোনও ঝুঁকি নেই, তখন যাত্রীদের নামার অনুমতি দেওয়া হয়।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানে ১২৬ জন যাত্রী ছিলেন। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানের ট্রান্সপন্ডার দিল্লি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল-কে- ‘স্কওয়াক ৭৫০০’ কোড পাঠায়। এই কোড ০০০০ থেকে ৭৭৭৭ পর্যন্ত হতে পারে। Flightradar.com অনুযায়ী, স্কওয়াক কোড ৭৫০০ ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’ বোঝায়, যা সাধারণত বিমান ছিনতাইয়ের সঙ্কেত হিসেবে ব্যবহার করেন পাইলটরা।