বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় প্রথমেই আছে ফিনল্যান্ডের নাম। এরপর যথাক্রমে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ডের মতো নরওয়েজিয়ান দেশগুলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে।
আর শীর্ষ দশের তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলো হলো- ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী বা স্যাডেস্ট দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লেবানন, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, বতসোয়ানা, লেসোথো, সিয়েরা লিওন, তানজানিয়া, মালাউই ও জাম্বিয়া। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী এই দেশগুলোর সুখের সূচক সবচেয়ে কম।
আফগানিস্তান হলো বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ, যেখানে সুখের সূচক ২.৪। লেবানন- সুখের সূচক ২.৯৬, বিশ্বের দ্বিতীয় অসুখী দেশ। জিম্বাবুয়ে- সুখের সূচক ৩, বিশ্বের তৃতীয় অসুখী দেশ।
রুয়ান্ডা- ৩.২৭ স্কোর’সহ বিশ্বের চতুর্থ অসুখী দেশ ও ৩.৪৭ স্কোর নিয়ে বতসোয়ানা পঞ্চম অসুখী দেশ। অন্যদিকে ষষ্ঠ স্থানে আছে লেসোথো, যার সুখের সূচক ৩.৫১।
সিয়েরা লিওন ৩.৫৭ স্কোর’সহ বিশ্বের ষষ্ঠ অসুখী দেশ যেখানে তানজানিয়া ৩.৭ এর সুখের সূচক নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে। ৩.৭৫ স্কোর’সহ মালাউই বিশ্বের নবম অসুখী দেশ। আর সবশেষে আছে জাম্বিয়ার নাম। ৩.৭৬ স্কোর নিয়ে এটি বিশ্বের দশম অসুখী দেশ।
দেশটি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাতের মধ্যে আছে। ফলে সেখানকার জনগণরা অপরিসীম দুর্ভোগের মধ্যে বনসবাস করছে। সংঘাত ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত, জীবনহানি ও অবকাঠামো ধ্বংসের কারণ হয়েছে।
এছাড়া উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আফগানিস্তানের অনেক গ্রামবাসী এখনো শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মৌলিক পরিষেবাগুলো সঠিকভাবে পাচ্ছে না।
তালেবানের মতো চরমপন্থী গোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। তালেবানদের নির্মম অত্যাচারে সে দেশের নারী ও নারীরাও নিরাপদ নয়। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের সামগ্রিক সুখের সূচক আরও অবনতির দিকে পরিচালিত করছে।