চলতি বছরের বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী হিসেবে নিউইয়র্ককে পেছনে ফেলে দিয়েছে সিঙ্গাপুর ও জুরিখ। এক সমীক্ষায় এই তথ্য ওঠে এসেছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ওয়ার্ল্ডওয়াইড কস্ট অব লিভিং ২০২৩-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাড়ির মালিকানায় আকাশচুম্বি ব্যয়, দামি অ্যালকোহল এবং ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকা নিত্যপণ্যের কারণে যৌথভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর।
গত বছরের তালিকায় যৌথভাবে ষষ্ট স্থানে থাকা জুরিখ এবার সুইস ফ্রাঙ্কের জোর এবং সেইসাথে ব্যয়বহুল নিত্যসামগ্রী, গৃহসামগ্রী এবং বিনোদনের কারণে সিঙ্গাপুরের সাথে যৌথভাবে এক নম্বর স্থানটি পেয়েছে।
নিউইয়র্কের সাথে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেনেভা। আর হংকং রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সার্বিকভাবে আগের বছরের তুলনায় এবং স্থানীয় মুদ্রার আলোকে বিশ্বজুড়ে পণ্যমূল্য বেড়েছে গড়ে ৭.৪ ভাগ হারে। গত বছরের চেয়ে অবশ্য তা সামান্য কম। গত বছর তা ছিল ৮.১ ভাগ।
সমীক্ষায় আরো যেসব তথ্য ওঠে এসেছে :
১. লস অ্যাঞ্জেলস (ষষ্ট স্থান) এবং সান ফ্রানসিসকো (১০ম স্থান) হলো সেরা ১০-এর তালিকায় স্থান পাওয়া অপর দুই মার্কিন নগরী।
২. সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল নগরী হিসেবে স্থান পেয়েছে সিরিয়ার রাজধানী ামেস্ক, যওি তাদের জীবনযাত্রায় ব্যয় বেড়েছে ৩২১ ভাগ।
৩. তালিকায় সবচেয়ে বড় ঊর্ধ্বমুখী লাফ দিয়েছ মেক্সিকোর স্যান্টিয়াগো ডি কুইরেটারো এবং অ্যাগাসক্যালিয়েন্টেস। মূলত মার্কিন ডলারের বিপরীতে পেসোর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে এমনটি হয়েছে।
৪. জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দুর্বল স্থানের কারণে ২৩টি স্থানে পিছিয়ে পড়ে টোকিও রয়েছে ৬০তম স্থানে, ওসাকা ২৭টি স্থান হারিয়ে নেমে গেছে ৭০তম স্থানে।
৫. ইসরাইলের তেল আবিব শীর্ষ দশে স্থান করে নিলেও মনে রাখতে হবে যে সমীক্ষাটি করা হয়েছিল ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের আগে। ফলে যুদ্ধের ঢেউ তালিকায় স্থান পায়নি।
সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল ১৪ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর সময়কালে। এতে বিশ্বজুড়ে ১৭৩টি নগরীর ৪০০-এর বেশ একক মূল্য বিবেচনা করা হয়েছে।
২০২৩ সালের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০ সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী হচ্ছে :
১. সিঙ্গাপুর
২. জুরিখ
৩. নিউ ইয়র্ক
৪. জেনেভা
৫. হংকং
৬. লস অ্যাঞ্জেলস
৭. প্যারিস
৮. কোপেনহেগেন
৯. তেল আবিব
১০. সান ফ্রানসিসকো।