বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বর্তমানে সারাবিশ্বে ১১৪ মিলিয়ন বা ১১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া একটি দুঃখজনক রেকর্ড৷
সংস্থাটি বলেছে, ‘‘বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, নিপীড়ন, সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ১১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে৷’’
২০২৩ সালের প্রথমার্ধে বাস্তুচ্যুতি মূলত ইউক্রেন, সুদান, মায়ানমার এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে সৃষ্ট সংঘাতের কারণে হয়েছে৷ এছাড়া আফগানিস্তানে চলমান মানবিক সংকট, সোমালিয়ায় খরা, বন্যা এবং নিরাপত্তাহীনতার মতো বিভিন্ন মিশ্র কারণেও ঘটেছে৷
আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইউক্রেন বিশ্বের বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রায় এক তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করছে৷ এছাড়া বাস্তুচ্যুতদের অর্ধেকেরও বেশি সীমান্ত পার হতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি বলেন, ‘‘বিশ্বের মনোযোগ এখন গাজার মানবিক বিপর্যয়ের দিকে৷ কিন্তু বিশ্বব্যাপী এটি ছাড়াও আরও অনেক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে বা বৃদ্ধি পাচ্ছে, নিরীহ জীবন ধ্বংস হচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজ অঞ্চল থেকে বের করে দিচ্ছে৷’’
২০২৩ সালের প্রথমার্ধের তথ্য সংকলন করে ইউএইনএইচসিআর তার প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১১০ মিলিয়ন বা ১১ কোটি ছাড়িয়ে যায়, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৬ লাখ বেশি৷
সংস্থাটির মতে, জুনের পরে পরবর্তী তিন মাসে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে৷ এই সংখ্যাটি সেপ্টেম্বরের শেষে ১১৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে৷
তবে এই পরিসংখ্যানে ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুতকে ধরা হয়নি৷ কারণ গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে ৭ অক্টোবর৷
তবে বছরের সবশেষ অথবা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশিত হলে সেখানে ওই অঞ্চলের পরিসংখ্যান সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে৷