বিশ্বকাপ যত ঘ’নিয়ে আসছে, কাতারের প্রস্তুতির তোড়জো’ড় তত বাড়ছে। এর অংশ হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে আসা ফুটবলপ্রেমীদের সবকিছু নির্বি’ঘ্ন করতে ভিন্নধর্মী এক উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
টুর্নামেন্টের সময়ে সরকারি চাকুরিজীবীদের বড় একটি অংশকে ঘরে বসে অফিস করার অনুমতি দিয়েছে কাতার সরকার।মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। আগামী ২০ নভেম্বর ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসর শু’রু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর শেষ হবে।
আশা করা হচ্ছে, এই আসর বিশ্বের ১২ লাখ ফুটবলপ্রেমী যা রক্ষণশীল দেশ কাতারের জনসংখ্যার অর্ধেককে আকৃষ্ট করবে। ফলে লজিস্টিক সুবিধা দেওয়া এবং পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনা চ্যালেঞ্জের মুখে প’ড়বে।
এ কারণেই কাতার সরকার বুধবার জানিয়েছে, সরকারি চাকরিজীবিদের ৮০ শতাংশ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘরে বসে কাজ করবে। সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলো ক্লাস আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত সীমিত করা হবে।
বিশ্বকাপ চলাকালীন তো বটেই, ফাইনালের পর ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলো পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। কাতার সরকারের কমিউনিকেশন অফিসের মুখপাত্র মোহাম্মেদ আল হাজরি এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
বাছাই পেরিয়ে আসা ৩২ দল নিয়ে দোহার ৮টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্বকাপ। দোহা দেশটির রাজধানী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। বিশ্বকাপের ইতিহাসে আয়োজনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ এটি।
এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন নেটও’য়ার্কও তৈরি করেছে কাতার। এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রো চালু করা হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে, কিন্তু বিশ্বকাপে যত মানুষের আনাগোনা হবে, এত মানুষ নিয়ে এই সার্ভিসগুলো কখনই যাতায়াত করেনি