১৯২১ সনে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে তার প্রিয় শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সংস্কৃতি শিক্ষার মাধ্যমে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সাধন করা। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উপমহাদেশে অদ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। এখানকার শিক্ষার পরিবেশ প্রথাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নয় বরং শিক্ষার্থীরা এখানে উন্মূক্ত আকাশের নীচে আশ্রমের গাছের ছায়ায় মনের আনন্দে শিক্ষা গ্রহন করে। ১৯৫১ সালের মে মাসে পার্লামেন্টের একটি অ্যাক্টের মাধ্যমে বিশ্বভারতী একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।
অবস্থান ও যোগাযোগ:
বিশ্বভারতী
শান্তিনিকেতন-৭৩১২৩৫
বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
ফোন:
রেজিষ্ট্রার: ৯১৩৪৬৩২৬২৭৫১-৫৬; ৯১৩৪৬৩২৬১৫৩১
ভর্তি সমন্বয় সেল: ৯১৩৪৬৩২০২৫২৩
ই-মেইল: registrar@visva-bharati.ac.in
ওয়েবসাইট: www.visva-bharati.ac.in
যেসব পর্যায়ে পাঠদান করা হয়:
বিশ্বভারতীতে বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। এখানে উচ্চ শিক্ষার যেসব পর্যায়ে পাঠদান করা হয় সেগুলো হচ্ছে:
কোর্স সমূহ:
বিশ্বভারতীতে যেসব কোর্সে পাঠদান করা হয় সেগুলো হচ্ছে-
বিএ (অনার্স):
* উপরোক্ত প্রত্যেকটি বিষয়ে এম.এ এবং এমএসসি ডিগ্রীও প্রদান করা হয়।
ডিপ্লোমা:
সার্টিফিকেট:
বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞাতব্য:
বিশ্বভারতীতে সারা বিশ্ব থেকেই শিক্ষার্থীরা ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে আসে। এছাড়া সাধারন বিষয়গুলোতেও তাদের ভর্তির সুযোগ উন্মূক্ত।
কিভাবে আবেদন করবেন:
বিশ্বভারতীতে কোন কোর্সে ভর্তির আবেদন করার পূর্বে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ঐ কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে এমনভাবে আবেদন করতে হবে যেন এপ্রিল মাসের ভেতরে সবধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয় এবং যেন তারা আগস্ট মাসে কোর্স শুরু করতে পারেন।
আবেদনপত্র সংগ্রহ:
আগ্রহী বিদেশী শিক্ষার্থীগন বিশ্বভারতীয় ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়া বছরের যেকোন সময় বিশ্বভারতীয় ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (শিক্ষা ও গবেষনা) এর দপ্তর থেকে বিনামূল্যে এই ফর্ম পাওয়া যেতে পারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সের জন্য: উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সের জন্য: পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে ২য় শ্রেণীর স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী
১ বৎসর মেয়াদী বিশেষ কোর্সের জন্য: বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত ১ বৎসর মেয়াদী কোর্সের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট।
এছাড়া এসব কোর্সে ভর্তির জন্য বিষয়ভিত্তিক আনুষঙ্গিক অন্যান্য কিছু শর্ত ও পূরণ করতে হবে।
এসব শর্তাবলী যাদের দপ্তর থেকে জানা যাবে তারা হলেন:
আরো জ্ঞাতব্য:
বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষনার ও সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই ভারতে সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। কোন সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুপারিশকৃত অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশেষ কোনো গবেষণা কর্মসূচী যদি বিশ্বভারতী কর্তৃক গৃহীত হয় সেক্ষেত্রে গবেষণা সুবিধাদি এবং নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
মোট আসন সংখ্যার ১৫ শতাংশ বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারত সরকারের আইন অনুযায়ী এবং হোস্টেলের সীট থাকা সাপেক্ষে ভর্তির আবেদন বিবেচনা করা হয়।
আবেদন পত্র জমা দান:
বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্র “ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (শিক্ষা ও গবেষণা)” এর বরাবর জমা দেবেন অথবা ইমেইল করবেন। যদি আবেদন ফর্ম ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা হয় তবে তা জমা দেয়ার সময় অবশ্যই ১০ মার্কিন ডলারের একটি ব্যাংক ড্রাফট “বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন এর অনুকূলে সংযুক্ত করতে হবে যা ষ্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, শান্তিনিকেতন ব্র্যাঞ্চ, কোড-২১২১” থেকে উত্তোলনযোগ্য সকল বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য “ষ্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, শান্তিনিকেতন ব্র্যাঞ্চ” এর SWIFT CODE: SBIN IN BB 343
মেধাভিত্তিক ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রি-ডিগ্রী, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই বৃ্ত্তি প্রযোজ্য। এছাড়া কিছু সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে UGC, CSIR, ICAR, ICHR, DST, DAE, ICSSR ইত্যাদি সংস্থ্যা কর্তৃক রিসার্চ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। সাধারনত ডক্টরেট গবেষনার ক্ষেত্রে এই ফেলোশিপ দেয়া হয়।
বিশ্বভারতীতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে বাৎসরিক টিউশন ফি নিম্নরূপ: