বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন

বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ‘ধর্মীয় কাজে’ ব্যবহার হবে গাঁজা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

ধর্মীয় কোনো প্রথা এবং চিকিৎসার কাজে গাঁজা ব্যবহার করা যাবে। এই দুই খাতে গাঁজার ব্যবহারকে বৈধ হিসেবে ঘোষণার লক্ষ্যে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের সরকার এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিল উত্থাপন করেছে। বিলটিতে বলা হয়েছে, এ দুই খাতের বাইরেও কোনো ব্যক্তি যদি ‘সামান্য’ পরিমাণ গাঁজা সঙ্গে রাখে, তবে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাহামা দ্বীপপুঞ্জের সরকার মূলত দ্বীপদেশটির কর আয় বাড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে। বিলগুলো পাস হলে, অর্থাৎ সেগুলো আইনে পরিণত হলে দেশের কর আয় বাড়বে বলে অনুমান আইনপ্রণেতাদের।

যদি বিলগুলো আইনে পরিণত হয়, তাহলে সরকার গাঁজা চাষ, পরিবহন, ধর্মীয় ও চিকিৎসার স্বার্থে গাঁজার ব্যবহারের ওপর কর আরোপ করতে পারবে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবে, অর্থাৎ গাঁজা নিয়ে গবেষণা, পরীক্ষা এবং এ থেকে চিকিৎসাদ্রব্য উৎপাদন করবে, সেগুলোর ওপর কর আরোপ করতে পারবে।

নতুন আইন অনুসারে, বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার অবৈধই থাকবে। তবে কারও কাছে যদি ৩০ গ্রামের কম পরিমাণ গাঁজা পাওয়া যায়, তাঁকে ২৫০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হবে না। বর্তমানে দেশটিতে একই অপরাধে ৫ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হয় অথবা ৩০ বছর কারাদণ্ড পেতে হয়।

নতুন আইন পাস হলে নথিবদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে গাঁজা সেবন করা যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল রায়ান পিন্ডার।

উল্লেখ্য, বাহামা দ্বীপপুঞ্জের ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীই খ্রিষ্টান এবং অল্প কিছুসংখ্যক জনগণ রাস্তাফারাই নামে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এই গোষ্ঠীর অন্যতম ধর্মীয় সংস্কার হলো গাঁজা সেবন করা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com