ফেসবুকের ৩৭ বছর বয়সী সাবেক এই কর্মী প্রতিষ্ঠানটির মিথ্যা তথ্যের প্রসার রোধে কাজ করা দলটিতে পণ্য ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফেসবুকের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটিতে আর কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন। ফেসবুক ছাড়ার আগে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ নথি সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। নথিগুলো প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দিলে তিন সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি, যা ‘ফেসবুক ফাইলস’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে হাউগেন বলেন, নথিগুলো থেকে জানা যায়, ফেসবুক যে মানুষের ক্ষতি করছে, সহিংসতা ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, তা শীর্ষ নির্বাহীরা জানতেন। তবে জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা করেছেন।
২০১৯ সালে ফেসবুকে ক্যারিয়ার শুরু করেন ফ্রান্সেস হাউগেন। এর আগে কাজ করেছেন গুগল ও পিন্টারেস্টে।
হাউগেনের প্রস্তাবিত বক্তৃতায় লেখা রয়েছে, ‘আমরা যখন বুঝতে পারলাম তামাকজাত পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষতিকর দিক লুকাচ্ছে, সরকার ব্যবস্থা নিল। যখন আমরা বুঝলাম আমাদের গাড়িগুলোয় সিটবেল্ট থাকাটা নিরাপদ, সরকার ব্যবস্থা নিল। আর এখন সরকার সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, যেগুলো আসক্তিবিষয়ক তথ্য লুকাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে (ফেসবুক) আমি ঠিক সেটাই করতে বলছি।’
প্রথম আলো