বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালুর পক্ষে মত দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তবে সব এলাকায় নয়। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যাসিনো চালু করা যেতে পারে। যেখানে স্থানীয় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। বলা হয়েছে, বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে হলে ক্যাসিনোসহ বিনোদন উপযোগী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যাসিনো নিষিদ্ধ রয়েছে। দুই বছর আগে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় ২৭৫জনকে। এরমধ্যে ১২০জনকে ঢাকায়। বাকিরা ঢাকার বাইরের। এসব অভিযানে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা নগদ, ১৬৬ কোটি টাকার এফডিআর, ১৩০টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ৮ কেজি সোনা, ২৭টি অস্ত্র এবং সাড়ে চার হাজার বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। এতে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের দু’জন, ঢাকার তিন কাউন্সিলর, যুবলীগের ৬ জন ও কৃষক লীগের দুইজন। এ সম্পর্কে দায়েরকৃত মামলার তেমন কোন অগ্রগতি নেই। ২৪জনের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ১২টি মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ বলেছেন, বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যেই আমরা ক্যাসিনো চালু করার পক্ষে মত দিয়েছি। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন পোশাকশিল্পে দ্বিতীয় স্থানে। অনেক বিদেশি বায়ার বাংলাদেশে আসেন। তাদের জন্য বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই। মুসলিম দেশগুলোতেও বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদেরকেও পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করতে হবে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উন্নতমানের পর্যটন স্থাপনা তৈরির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদেশি পর্যটকদের ভিসা ও ইমিগ্রেশন পদ্ধতি সহজ করার পক্ষে মত দেয়া হয়।”