পর্যটন খাত সম্প্রসারণে এবার ভারতের দিকে নজর দিয়েছে থাইল্যান্ড। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি এর আগে চীন ও কাজাখস্তানের জন্য ভিসা ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন।
থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে তিনি ভারত সফর করতে পারেন। ‘রাজনৈতিক কারণেই ভারত থেকে সম্প্রতি বেশি ফ্লাইট আসছে না। বছরের শেষ দিকে ভারত সফরে বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান ।’
থাইল্যান্ড ভারতীয় পর্যটক বৃদ্ধির জন্য জোর দিচ্ছে। থাইল্যান্ডে ভারতীয়দের বিয়ের জন্য জুয়েলারি পণ্য আনা হলে তাতে করছাড়ের সুবিধা থাকবে। ভারতীয় নাগরিকরা দ্রুত থাই ভিসা পাবে। সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা। স্রেথার মন্তব্য এমন একসময় এল, যার ঠিক এক সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ড চীন ও কাজাখস্তানের পর্যটক টানার জন্য ভিসাছাড়ের সুবিধা দিয়েছে। দুই দেশ থেকে নাগরিকরা ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাইল্যান্ডে সর্বোচ্চ ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবে।
ভিসাছাড়ের কারণে ৩ হাজার ৫০০ কোটি বাথ আয় হবে চীনা পর্যটকদের থেকে। এমনটাই মনে করছেন থাই প্রধানমন্ত্রী। পর্যটন খাত সম্প্রসারণে থাইল্যান্ড দীর্ঘ সময় ধরে প্রচেষ্টা করছে। এমনিতেও দেশটির অর্থনীতির পেছনে অন্যতম চালিকাশক্তি পর্যটন খাত। দেশটি ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন বাথ আয় করতে চায় খাতটি থেকে।
থাইল্যান্ড ১ কোটি ৮৫ লাখ বিদেশী পর্যটকের গন্তব্য ছিল চলতি বছরে। বছর শেষে সংখ্যাটি ২ কোটি ৮০ লাখে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, পর্যটন খাত থেকে আয় ৭৭ হাজার ৫০০ কোটি বাথ। মহামারীর আগে ২০১৯ সালে দেশটিতে চার কোটি বিদেশী পর্যটক সফর করেছিল।