অবশেষে খুলছে উত্তর সিকিমের দরজা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সিকিম পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাগুলোর নির্দেশিকা পৌঁছে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য লাচুং খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনই খোলা হচ্ছে না লাচেন ও গুরুদংমার।
তবে নির্দেশনায় কিছু নিষেধাজ্ঞার কথাও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমে পৌঁছাতে হলে পর্যটকদের সংকলন-টং-চুংথাং সড়ক হয়েই যেতে হবে। বিকেল ৪টার পর থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
সিকিমের প্রশাসনিক সূত্রে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বন্যার ক্ষত থেকে এখনো সেরে উঠতে পারেনি সিকিম। দিনরাত কাজ করে উত্তর সিকিমের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগ স্থাপন করেছে ভারতীয় সেনারা। লোহার সেতু তৈরি করে বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো বহু রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। সেই কারণেই উত্তর সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে আপাতত কিছু কড়াকড়ি থাকছে।
এ বিষয়ে রাজ্যের ইকো ট্যুরিজম দপ্তরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, উত্তর সিকিমের ক্ষেত্রে আমরা পর্যটকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, হাতে সময় নিয়ে সিকিম ভ্রমণে আসুন। তুষারপাতের মৌসুম আসতে চলেছে। কাজেই আমরা পর্যটকদের এক দিন গ্যাংটকের আশপাশে থেকে পরের দিন উত্তর সিকিম যেতে আবেদন জানাচ্ছি। এখনো অনেক রাস্তাঘাট তৈরি হয়নি।
লোনাক হ্রদের ওপর মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং তার জেরে জলস্তর বেড়ে গিয়ে গত অক্টোবর মাসে উত্তর সিকিম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল তিস্তা নদী। ভেঙে গিয়েছিল সিকিমের চুংথাম বাঁধ। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গন জেলা। সিকিম যাওয়ার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেসে যায় বহু সেতু। তখন থেকেই পর্যটকদের জন্য উত্তর সিকিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।