হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের (তৃতীয় টার্মিনাল) গ্রাউন্ড হ্যান্ডিংয়ের কাজ জাপান করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তাদেরই এ কাজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কাজ দেওয়ার জন্য কি ধরনের টার্মস দেওয়া হবে সেটি নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে করা হবে।
শনিবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম, বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) আয়োজিত ‘এটিজেএফবি ডায়ালগ উইথ ক্যাব চেয়ারম্যান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বর্তমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের সিংহভাগ কাজ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
১৯৭২ সাল থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নিজেদের ফ্লাইটের পাশাপাশি ৩২টির মতো ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের সেবা দিচ্ছে তারা। তবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো নিজস্বভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করে আসছে।
বেবিচক সূত্র জানায়, ২০২২ সালে দুর্বল লাগেজ হ্যান্ডলিং সেবা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছিল বিমানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও লাগেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, সময়মতো কার্গোর মাল আনলোড-অফলোড না করায় অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন বিমানের সেবায়। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ও অসন্তোষ ছিল। তাই বেবিচক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভবিষ্যতে বিমানের হাত থেকে বাকি দুই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব চলে যাওয়ারও আশংকা রয়ে গেছে।