নির্মিতব্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের নান্দনিক ডিজাইন, ব্যবহার মান ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে বহু দেশ ও তাদের উড়োজাহাজ সংস্থা এটি ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশপথে সংযোগ বাড়াতে চায় অনেক দেশ।
আগের চেয়ে উড়োজাহাজ চলাচলও বাড়বে প্রত্যাশা করছেন বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩৬টি এয়ারলাইন্স বিশ্বের ২০টি দেশের সর্বমোট ২৭টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী দেশের সংখ্যা ৫৪টিতে পৌঁছেছে।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় টার্মিনালকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ব্রুনাই ও মরিশাসের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচল চুক্তি হয়েছে। কয়েক দিন আগে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া অচিরেই চুক্তি হচ্ছে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। সাইপ্রাস, লেবাননসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গেও চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এছাড়া, আরও অনেক দেশের সিভিল এভিয়েশন বাংলাদেশের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচলের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তাদের সঙ্গেও চুক্তির বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাইকার অর্থায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে নির্মাণাধীন এ টার্মিনালের ৭৮ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী অক্টোবরে এ টার্মিনাল স্বল্প পরিসরে (সফট ওপেনিং) চালু করা হবে।
২০২৪ সালের শেষে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহারের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এরই মধ্যে এ বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচলবিষয়ক চুক্তি হয়েছে। আরও অনেক দেশের সিভিল এভিয়েশন বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচলের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তাদের সঙ্গেও চুক্তির বিষয়টি বিবেচনাধীন বলেও তিনি জানান।