ঢাকায় এবার ইউরোপের দেশ গ্রিসের ভিসাকেন্দ্র চালু হয়েছে। ভ্রমণ, কর্মসংস্থান, ফ্যামিলি, শিক্ষার্থী ও ডিজিটাল যাযাবরের (নোম্যাড) মতো সব ধরনের ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের নাগরিকরা ঢাকায় এ ভিসা কেন্দ্রে আবেদন করতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের আসুদ আহমেদ রাষ্ট্রদূত।
এর আগে গ্রিসে যেতে চাইলে বাংলাদেশিদের ভারতের গ্রিক দূতাবাসে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হতো, যা বেশ সময়সাপেক্ষ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, `বাংলাদেশ দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এবার ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র চালু হওয়ায় গ্রিসে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভিসার আবেদন জমা দিতে আর নয়াদিল্লি যেতে হবে না।’
তিনি জানান, ভিএফএস গ্লোবালের সঙ্গে অংশীদারত্বে গ্রিসের কূটনৈতিক ও কনস্যুলার কর্তৃপক্ষের বহিরাগত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিস ভিসা ওয়ার্ল্ড সেন্টার (জিভিসিডব্লিউ) ঢাকায় এ ডেডিকেটেড ভিসা কেন্দ্রে চালু করে।
ঢাকার বোরাক মেহনুর (৮ম তলা), ৫১/বি, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ভিএফএস গ্লোবাল জয়েন্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (জেভিএসি) গ্রিসের ভিসা আবেদন জমা দিতে এবং সেখানে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করতে হবে।
তার আগে অনলাইনে (লিংক: https://bd-gr.gvcworld.eu/en/online-visa-application) অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
ভিএফএস গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার (দক্ষিণ এশিয়া) প্রবুদ্ধ সেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা কাজ, শিক্ষা, ব্যবসা ও অবসর সময় কাটানোর জন্য গ্রিস ভ্রমণে আগ্রহী, নতুন কেন্দ্রটি বাংলাদেশের জনগণকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে। এই উন্নয়ন জিভিডব্লিউসি’র সঙ্গে আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদারত্বের আরেকটি অধ্যায়, যার সঙ্গে আমরা ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছি।’
অত্যাধুনিক নতুন ভিএসি নিয়মিত আবেদনকারীদের জন্য ডেডিকেটেড সাবমিশন কাউন্টারের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ভিসা অভিজ্ঞতা খুঁজছেন এমন ভ্রমণকারীদের জন্য ঐচ্ছিক প্রিমিয়াম লাউঞ্জ পরিষেবা দিয়ে সজ্জিত থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে বছরে কমপক্ষে ৪ হাজার কর্মী নিয়োগের জন্য একটি চুক্তি সাক্ষর করে গ্রিস। তবে, চুক্তি সাক্ষরেরও এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। ভিসা কেন্দ্র চালু হওয়ায় এ চুক্তি আলোর মুখ দেখবে বলে প্রত্যাশা বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তপক্ষের।
লেখক: গ্রিসপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক