মালয়েশিয়ায় বিপুল পরিমাণ জাল ভিসা, পাসপোর্ট, আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দসহ মিয়ানমারের রকার্স নামে এক মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল যাইমি দাউদ জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক বাংলাদেশি কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর অননুমোদিত অস্থায়ী কর্মসংস্থান পরিদর্শন পাসের (পিএলকেএস) বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
মহাপরিচালক জানান, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি যিনি ২০১৬ সাল থেকে ইমিগ্রেশনের ডকুমেন্টসহ অন্যান্য নথিপত্রের জালিয়াতি সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন অভিযোগে চার মাস নজরদারির পর গত শনিবার কুয়ালালামপুরের কোতারায়া শপিং সেন্টারে ‘রকার্স’ নামে ৩৮ বছর বয়সী মিয়ানমারের নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় চেরাসের বন্দর তাসিক সেলাতানের বিলাসবহুল একটি কন্ডোমিনিয়াম থেকে জাল ডকুমেন্ট প্রসেসিং ল্যাব থেকে প্রচুর পরিমাণ জাল ভিসা, ইউএনএইচসিআর কার্ড, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট, বিবাহের প্রশংসাপত্র, মিয়ানমারের জন্ম সনদপত্র, আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইলেকট্রনিক হার্ডওয়্যার, রাসায়নিক পদার্থ, অফিসিয়াল রাবার স্ট্যাম্প, কম্পিউটার, নয়টি প্রিন্টার, দুটি ল্যামিনেশন মেশিন, একটি খোদাই মেশিন, স্ক্যানারসহ জাল নথিপত্র তৈরি করার বেশ কয়েকটি সরঞ্জামসহ নগদ ১৫ হাজার রিঙ্গিত জব্দ করা হয়।
তিনি সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, উইচ্যাট এবং টেলিগ্রাম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তার ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করতেন। ক্লায়েন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের কাছ জনপ্রতি ভুয়া অস্থায়ী ভিজিট পাসের জন্য ৩০০ থেকে এক হাজার রিঙ্গিত, পাসপোর্টে এরাইভাল ও ডিপার্চার সিলের জন্য ২০০ রিঙ্গিত, জাল পাসপোর্ট তৈরির জন্য ৫০০ রিঙ্গিত, মালয়েশিয়ান বিবাহ ও জন্ম সনদের জন্য ১০০ রিঙ্গিত করে চার্জ নিতেন।
তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি বর্তমানে ১৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছে এবং নথি জালিয়াতির অভিযোগে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫৫(ডি) ধারায় তদন্ত করা হচ্ছে।