জাপানের সংস্কৃতি বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি বিষয়। আর তাদের সামগ্রিক সংস্কৃতি, জীবনযাত্রার সঙ্গেই জড়িয়ে তাঁদের লম্বা আয়ু ও যৌবন।
সকলেই জানেন যে জাপানের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি। মৃত্যুহার বেশ কম। আসলে তাঁদের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী অভ্যাসগুলি তাঁদের সুস্থতা এবং যৌবনের চাবিকাঠি। চাইলে আপনিও জাপানি সংস্কৃতি থেকে কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন। খুবই সহজ সেটা।
ভাত জাপানিদের অতি প্রিয় একটা খাবার। আর বাঙালিদেরও তাই। পুষ্টিবিদরা বলছেন, জাপানিদের মতো নিয়মিত, স্বল্প পরিমাণে ভাত খেলেই তা স্বাস্থ্য ভাল রাখবে। তাই ক্র্যাশ ডায়েটের ফাঁদে পড়ে ভাত একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন না যেন!
নরি: জাপানিদের অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য ‘নরি’। এটি আসলে শুকনো করা সামুদ্রিক শৈবাল। বহু শতাব্দী ধরেই এটি জাপানি খাদ্যাভ্যাসের অন্যতম অংশ। সি উইডে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, C, এবং E থাকে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। আজকাল অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায়। Nori Sheets লিখে সার্চ করলেই পাবেন। নুডল, চাইনিজ বা জাপানি খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন।
জাপানিরা ফিট, ছিপছিপে শরীর ভীষণ পছন্দ করে। তাই তারা নিয়মিত দৌড়, জগিং, হাঁটা, যোগ ব্যায়াম ইত্যাদি করে।
গাঁজনযুক্ত খাবার: জাপানিরা প্রচুর পরিমাণে গাঁজনযুক্ত খাবার খান। সেই তালিকায় আছে মিসো, সয়া সস, টেম্পেই এবং কিমচি। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়তা করে। কিন্তু ভেতো বাঙালি এসব পাবে কোথায়? চিন্তা নেই, আমাদের পান্তা ভাতও কিন্তু ফার্মেন্টেড খাবার। তাই মাঝে মাঝে আগের রাতের অতিরিক্ত ভাত জল ঢেলে ভিজিয়ে দিন। পরের দিন লেবু, পেঁয়াজ দিয়ে খান। খেতেও মজা, উপকারও পাবেন।
গ্রিন টি: জাপানিরা গ্রিন টি ভীষণ পছন্দ করেন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং শক্তি বাড়ায়। তাই রোজ সকাল-সন্ধ্যায় এক কাপ সবুজ চা পান করতেই পারেন। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও অভ্যাস হয়ে যাবে।
জাপানিদের পাতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে সবজি থাকে। মরসুমি, টাটকা সবজি যে স্বাস্থ্যের জন্য সেরা, তা বলাই বাহুল্য। আপনিও তাই সেটা মাথায় রাখুন।