দক্ষিণ কোরিয়া ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে চীনের পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রসেসিং ফি মওকুফ করার এবং দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। চীন ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রুপ ট্যুরের ওপর সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এই পরিকল্পনা সামনে আসে।
সোমবার ঘোষিত পদক্ষেপগুলো উভয় দেশের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টার অংশ যা “অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে” এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়া পর্যটনের প্রচারের মাধ্যমে তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার আশা করছে। এই বছরের শুরুর দিকে সিউল যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, তাইওয়ান ও হংকংসহ বাইশটি দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য কোরিয়ান ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (কে-ইটিএ)-এর প্রয়োজনীয়তা স্থগিত করেছে।
২০১৭ সালে ইউএস টার্মিনাল হাই অল্টিচিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম (টিএইচএএডি) ইন্সটল করার সিউলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চীন দক্ষিণ কোরিয়ার সমস্ত সংগঠিত গ্রুপ ট্যুর নিষিদ্ধ করেছিল। চীন দাবি করেছে যে, সিস্টেমের রাডার চীনা ভূখণ্ডে নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য নিযুক্ত হতে পারে।
কোরিয়ার বৃহত্তম ট্রাভেল এজেন্সি হানা ট্যুরের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, নতুন সরকারি পদক্ষেপের প্রভাব বর্ণনার জন্য এখনো “যথেষ্ট সময় পার হয়নি”।
চীন দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার। তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নানান উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এটি সাম্প্রতিক জনমত জরিপেও প্রতিফলিত হয়েছে। এতে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরীয়দের মধ্যে চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের পক্ষে বেশি ইতিবাচক ধারণা রয়েছে।
লি জুহাইয়ুন এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।