ক্রিকেটের কারণে নিউজিল্যান্ডের নাম আমাদের কাছে বেশ সুপরিচিত। খাঁটি মাংস রপ্তানিতে তাদের অনেক সুনাম রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের বসবাসের জন্য অত্যন্ত অনুকূল এবং নিরাপদ। তবুও যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার 7% মানুষও সেখানে বাস করে না। নিউজিল্যান্ডের ভূমির আশি শতাংশ খালি পড়ে আছে।
নিউজিল্যান্ডের ৭০ শতাংশ মানুষ উত্তরের কিছু অঞ্চলে বাস করে থাকে। অন্যদিকে উত্তরের ৫০ শতাংশ মানুষ অকল্যান্ডে বাস করে থাকে। মাওরি বাসিন্দারা নিউজিল্যান্ড আবিষ্কার করেছিল। পৃথিবীর মূল ভূখণ্ড থেকে এটি দূরে অবস্থিত। যখন চেঙ্গিস খান দুনিয়া শাসন করছিল সে সময় নিউজিল্যান্ডে মানুষের বসবাস শুরু হয়।
তখনকার সময়ে জল এবং মাছের ভালো চাহিদা থাকবে এ ধরনের দ্বীপের প্রয়োজন হয়েছিল। সে সময় পাহাড়ে ঘেরা নিউজিল্যান্ড মানুষের চোখে পড়ে। মাছ, পশু এবং ফলে এ দ্বীপ সমৃদ্ধ ছিল। বাকি দুনিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান অনেক দূরে বলে মাউরিরা অনেকদিন পর্যন্ত শান্তিতেই ছিল।
১৮৪০ সালে ব্রিটেন এবং মাওরিদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী নিউজিল্যান্ড ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। নিউজিল্যান্ডের যেসব অংশ খালি পড়ে আছে সেখানে আধুনিক শহর নির্মাণ করা বা বসতি গঠন করা অনেকটাই অসম্ভব।
সেখানের রাস্তা এব্রথেব্রা এবং উঁচু-নিচু পাহাড় অবস্থিত। সমতল ভূমির পরিমাণ তেমন নেই। এজন্য চলাচল করার উপযুক্ত রাস্তা বা বসতি নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য অধিকাংশ মানুষ দেশটির উত্তরে বাস করে। জনসংখ্যা সংকটের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অভিবাসন নীতি শিথিল করা হয়।
অকল্যান্ড অনেক বেশি সাশ্রয়ী শহর। তবে যেসব অঞ্চল খালি পড়ে আছে সেখানে বসবাসের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এবং সরকারের কাছ থেকে নানা প্রণোদনা এবং আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের কৃষিভিত্তিক কোম্পানি প্রচুর মাংস রপ্তানি করে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।
এখানে উর্বর সবুজ জমি রয়েছে যা ভেড়া, গরু এবং ছাগল লালন পালন করার জন্য উপযুক্ত। মাংস এবং লোম রপ্তানি করে তারা প্রচুর অর্থ ইনকাম করে থাকে। কারণ এখানে গবাদি পশুর সংখ্যা অনেক বেশি। এভাবে নিউজিল্যান্ড প্রায় পঞ্চাশ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে।
Like this:
Like Loading...