সুপ এবং সানউইং এয়ারলাইন্স ওয়েস্টজেটের ব্যানারে আনার ফলে বিামনভাড়া বাড়বে না বলে জানিয়েছেন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলেক্সিস ভন হোয়েন্সব্রোয়েচ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এর ফলে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন্ট আরও সহজে উড়োজাহাজ বিনিয়ম করতে পারবে। সেই সঙ্গে স্বল্প মূল্যের টিকিটে ভ্রমণকারীদের আরও বেমি সংখ্যক গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ দেবে। আমার মনে হয় না এর অর্থ ভাড়া বৃদ্ধি।
তিনি বলেন, কলেবর বৃদ্ধির ফলে আমরা আরও দক্ষতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমর্থ হবো। সেই সঙ্গে নির্ভরযোগ্যভাবেও কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কারণ, খারাপ কিছু হলে ছোট এয়ারলাইন্সের পক্ষে থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এক্ষেত্রে তিনি ওয়েস্টজেটের সংরক্ষিত উড়োজাহাজ ব্যবহারের সক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত দেন। যেটা সুপ ও সানউইঙ্গের ক্ষেত্রে ছিল না। সুপ ও সানউইঙ্গের বহরে উড়োজাহাজ রয়েছে যথাক্রমে ১৬ ও ১৮টি। সবমিলিয়ে ওয়েস্টজেট, সুপ ও সানউইঙ্গের উড়োজাহাজের সংখ্যা এখন দেড়শর বেশি। ওয়েস্টজেট এনকোরের মতো আঞ্চলিক সেবার উড়োজাহাজের সংখ্যা এক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
ভন হোয়েন্সব্রোয়েচ বলেন, ভিক্টোরিয়ার কথাই ধরুন। ভিক্টোরিয়া থেকে কানকুনে যেতে সানউইঙ্গের ১৮৯ জন ধারণক্ষমতার উড়োজাহাজে পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া যেতো না। এর ফলে সানউইঙ্গ আসলে উড্ডয়ন করতে পারত না। কিন্তু ওয়েস্টজেট ইয়ুকাটান রিসোর্ট শহরে ট্যুর প্যাকেজের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীও পরিবহন করতে পারবে। অথবা এটা ভিক্টোরিয়া থেকে ক্যালগেরিতে যাবে এবং এরপর কানাডার বেম কিচু শহর থেকে যাত্রী নিয়ে ক্যালগেরি-কানকুন ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
উপাত্ত ফার্ম সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, ১৮০টি সান ডেস্টিনেশনের মধ্যে ৮৭ শতাংশ গন্তব্যের বিামনভাড়া ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২২৩ সালের মার্চের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব গন্তব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মেক্সিকো, ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, ফ্লোরিডা এবং ক্যারিবিয়ান।