‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি ও কাবা প্রদক্ষিণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিহাসে এবারই (২০২৩ সালে) সবচেয়ে বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হবে কাবা প্রাঙ্গণ।
রোববার (২৫ জুন) কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করেন বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি। ইতিহাসের সবচেড়ে বড় হজ হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ বছর, আমরা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ প্রত্যক্ষ করব।’
২০২০ সালের করোনা মহামারি হানা দেওয়ার পর— এবার প্রথমবারের মতো সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার একসঙ্গে হজ করবেন ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস জানিয়েছিল, ২০১২ সালে হজ করেছিলেন ৩১ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৩ জন হাজি। যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ ছিল। এবার এ সংখ্যাটি পার হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১০ হাজার মানুষ; ২০২১ সালে ৫৯ হাজার। আর গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ১০ লাখ।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় হাজিরা মিনার দিকে যাবেন। যা কাবা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এরপর আরাফাত ময়দানে যাবেন তারা। শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এই আরাফাতের ময়দানেই তার সর্বশেষ ভাষণটি দিয়েছিলেন।
হাজিরা যেন নির্বিঘ্নে হজের সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে পারেন সেজন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার। মিনায় হাজিদের সুবিধার্থে খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া তাদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে এবার হজের মৌসুমটা পড়েছে তীব্র গরমের মধ্যে। জানা গেছে হাজিদের প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। এই গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যেন তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সেজন্য ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ বছর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামীকাল ২৬ জুন। যা চলবে ১ জুলাই পর্যন্ত। আর এ বছর সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২৮ জুন।
সূত্র: আল জাজিরা