ইউরো নিউজ-এর খবর অনুযায়ী, এই নয়া পরিকল্পনাটি হল সেদেশের “আর লিভিং আইল্যান্ড” নীতির অংশ। এর নীতি প্রয়োগে আইরিশ সরকার তার দ্বীপগুলির জনসংখ্যা বাড়াতে চায়। সরকার জানিয়েছে যে, “এই নীতির উদ্দেশ্য হল এখানকার দ্বীপগুলিকে সমৃদ্ধ করা। পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৩০টি দ্বীপ। এই দ্বীপগুলি একে অপরের সঙ্গো কোনও সেতু দ্বারা সংযুক্ত নয়, এবং এগুলির কাছাকাছি কোনও উপকূলও নেই। সরকার এখানে নতুন বাসিন্দাদের বসতি স্থাপনের সুযোগ দিচ্ছে। এবং এখানে বসতি স্থানের জন্য মিলবে ৭১ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল, দ্বীপগুলির পরিত্যক্ত প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এবং পুনর্বাসন।
কবে থেকে শুরু হবে এই আবেদন প্রক্রিয়া
সেখানে থাকতে গেলে বাসিন্দাদের ওই দ্বীপগুলিতে একটি সম্পত্তি কিনতে হবে। শর্ত, সেই সম্পত্তি যেন ১৯৯৩ সালের আগে নির্মিত হয় এবং সেটি যেন কমপক্ষে দুই বছর ধরে খালি পড়ে থাকে। প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত তহবিল গৃহ নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই টাকা ব্যবহার হতে পারে সংস্করণ, কাঠামোগত উন্নতি এবং সজ্জার জন্য। কেউ যদি এই দ্বীপগুলিতে যেতে আগ্রহী হন, তাহলে আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ জুলাই থেকে।
আয়ারল্যান্ড দেখার সেরা সময়
কেউ যদি আয়ারল্যান্ড ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে এই সময় যাওয়াই ভালো। মানে আয়ারল্যান্ড দেখার সেরা সময় হল, জুন, জুলাই এবং অগাস্ট। শীতকালে আয়ারল্যান্ড দেখতে চাইলে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ যান। আর আয়ারল্যান্ডের বসন্ত দেখতে চাইলে এপ্রিল মাস সেরা।
কীভাবে আয়ারল্যান্ড যাবেন
আয়ারল্যান্ড, ডাবলিন, শ্যানন, কর্ক এবং আয়ারল্যান্ড ওয়েস্টে চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। ডাবলিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মহাদেশীয় ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ প্রধান শহরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়াও ডোনেগাল, গালওয়ে, স্লিগো, কেরি এবং ওয়াটারফোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে। আয়ারল্যান্ডে পরিচালিত দুটি প্রধান এয়ারলাইন হল রায়নায়ার এবং এয়ার লিঙ্গাস।