ইতালির শ্রমবাজারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। দেশটির অন্যতম প্রধান ৩টি ক্ষেত্র- পর্যটন, কৃষি ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশিদের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। তবে অল্প কয়েক বছরের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অর্জন ঈর্ষণীয়।
এরইমধ্যে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি কৃষি খামারের মালিকানা অর্জন করেছেন বাংলাদেশিরা। এসব কৃষি খামারে ৫০ হাজারেরও বেশি প্রবাসী কর্মী নিয়োজিত আছেন। সঠিক সুযোগ পেলে ইতালির কৃষিক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী অবস্থান গড়তে সক্ষম হবে বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসীদের মালিকানাধীন খামারে মূলত উৎপাদন হয় বাংলাদেশের শাক-সবজি। লাউ, শিম, করলা, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, ডাটা, কলমি, পাট, পুঁই, লাউ শাক ও কাঁচা মরিচ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন হয় ইতালি প্রবাসীদের কৃষি খামারে।
উৎপাদিত এসব বাংলাদেশি কৃষিপণ্য ইতালি প্রবাসীদের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও পাঠানো হয়। প্রবাসে দেশীয় স্বাদের তাজা শাক-সবজি কম দামে কিনতে পেরে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ইতালির কৃষির প্রধান পণ্যগুলো হলো গম, ভূট্টা ও জলপাই। দেশটিতে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ১৬ লাখ কৃষি খামার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রায় ৮৮ লাখ মানুষ কাজ করেন।
ইতালির কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, স্থানীয়রা বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম দিন দিন কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছে। এর ফলে গত এক দশকে দেশটির প্রায় ৩০ শতাংশ কৃষি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের তরফ থেকে বিদেশিদের মাধ্যমে এসব বন্ধ কৃষি ফার্মগুলো চালুর জন্য অনুদানও দেয়া হচ্ছে। এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে, বাংলাদেশি প্রবাসীরা হতে পারেন ইতালির বড় বড় খামারের মালিক। সেই সঙ্গে রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের জন্য এনে দিতে পারেন অর্থনৈতিক সাফল্য।