ইউক্রেনের অনেক হোটেলে এখন পর্যটকদের জায়গা দেয়াই দায়! পর্যটনে উন্নয়নের জোয়ার কত ব্যাপক তা বোঝা গেল আন্তন তারানেনকোর কথায়।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, ২০২০ সালে ইউক্রেনে মোট চার হাজার পর্যটক এসেছিল, এবার প্রতিদিন অন্তত সাড়ে তিন হাজার সৌদি নাগরিক আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গত মার্চে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল ইউক্রেন। কঠোর লকডাউনের সুবাদে সংক্রমণ অনেক কমে আসায় জুন থেকে আবার শুরু হয়েছে দেশের ভেতরে এবং বাইরে বিমান চলাচল।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়িও অনেক কমানো হয়েছে। এখন করোনার পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে থাকলেই ইউক্রেনে যাওয়া যায়। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নাগরিকদের ইউক্রেনে যেতে ভিসাও লাগে না।
এতদিন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ ছিল রাজধানী কিয়েভ। সাম্প্রতিক সময়ে লভিভ শহরেও যাচ্ছেন অনেকে। পর্যটকদের, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকদের খুশি করতে নেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের উদ্যোগ। হালাল খাবার রাখা হচ্ছে সব হোটেলে। মেনু কার্ড তৈরি হচ্ছে আরবিতে।
নাগরিকদের ইউক্রেন সফর সহজ করতে রিয়াদ থেকে কিয়েভ সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে সৌদি সরকার। জুনে এই ফ্লাইট চালুর পর থেকে সৌদি নাগরিকদের ইউক্রেন যাওয়ার হিড়িক আরো বেড়েছে। শিগগিরই লভিভ শহর পর্যন্ত বিমান চলাচলের ব্যবস্থাও করবে সৌদি সরকার।
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে