আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিটসহ নানা ভিসায় জনবল নেয়ার খবর নিয়ে চলছে প্রতারণা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চক্র বিশাল অংকের অর্থের বিনিময়ে ভিসা পাইয়ে দেয়ার অফার দিচ্ছে অনেককে; সঙ্গে গ্রীন কার্ডও। যদিও দেশটিতে গ্রীন কার্ড বলতে কিছু নেই।
ইউরোপের এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসা দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গত ১১ অক্টোবর খবর প্রচার করে সময় সংবাদ। এরপর অনেকেই দেশটিতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। আর এ সুযোগে একটি চক্র ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাবদ ২৭ লাখ টাকা দাবি করে অনেকের কাছে।
আয়ারল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অফ এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড এন্ড এমপ্লয়মেন্ট থেকে ইস্যু করা হয় সব ধরনের ভিসা। দেশটি যে কটি ক্যাটাগরিতে জনবল নেবে, তার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট বাবদ সরকারি ফি মাত্র এক হাজার ইউরো; বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ টাকার কিছু বেশি। আবেদনকারীর ভিসা প্রত্যাখান হলে এ টাকার নব্বই শতাংশ অর্থ ফেরত দেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এ বিষয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি মো. খালেকুজ্জামান বলেন, ‘একটা চক্র এরই মধ্যে এ নিয়ে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে। আমি সবাইকে এদের থেকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কী প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট দেয়, তা আয়ারল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অফ এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড এন্ড এমপ্লয়মেন্ট থেকে যে কেউ জানতে পারেন।’
এমন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা না দেয়ার আহবান জানিয়ে দেশটির লিমেরিক সিটি কাউন্সিলের মেয়র আজাদ তালুকদার বলেন, ‘এ দেশে কোনও গ্রিনকার্ড সুবিধা নেই। আর ওয়ার্ক পারমিটের জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ দেশের সরকার দায়িত্ব দেয়নি।’
এছাড়াও আইরিশ ভিসার জন্য অ্যাভাটাস ও ইপিওএস এমপ্লয়মেন্ট পারমিট অনলাইন সিস্টেমে আবেদন করাই সঠিক পদ্ধতি। এখানে ব্যক্তি নিজেই তার আবেদনটি করতে পারেন।