ইউএস বর্ডার পেট্রোল এই আগস্ট মাসে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে ১৭৭,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গত ৪ বছরে এই গ্রেফতার সর্বাধিক বলে বাইডেন প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮৪,৪৮৬। তখন ট্রাম্পের শাসনকাল।
উল্লেখ্য এ বছরের শুরুতে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকে পড়া কমেছিল। কারণ তখন বাইডেন প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু আকস্মিক ঢুকে পড়ার হার এতই বৃদ্ধি পায় যে গ্রেফতারও বেড়ে যায়। আগের মাস জুলাইতে গ্রেফতার করা হয় ১৩২,৬৫২ জনকে আর জুন মাসে ৯৯,৫৩৯ জনকে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ইরিন হিটার পোস্টকে বলেন, বাইডেন প্রশাসন অবৈধ ইমিগ্রান্ট প্রবেশে কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করায় গ্রেফতার বেড়েছে। এইসব গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের দ্রæত ডিপোর্টেশনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাদের নিজ নিজ দেশে। তিনি বলেন, মেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারকারীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
মার্কিন গোয়েন্দারা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পাচারকারীদের মাধ্যমে কারা আমেরিকায় প্রবেশ করছে তাদের প্রতি। মুখপাত্র বলেন, যারা সপরিবারে আমেরিকায় ঢুকছে, বিশেষ করে যাদের শিশু সন্তান রয়েছে কেবলমাত্র তাদের থাকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তবে সকলকেই নয়। যাদের কেস মানবিক পর্যায়ে পড়ে এবং নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসার যুক্তিযুক্ত কারণ আছে, কেবল তাদেরই কেস পেন্ডিং রেখে থাকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইমিগ্রেশন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছেন। একদিকে তিনি মানবিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, অপরদিকে ‘মেক্সিকোতে থাকো’ নীতিমালায় প্রবেশ রুখে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্যান্ডেমিককালে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ আখ্যায়িত করে ২০২০ সালে টাইটেল ফোর্টি টু আইন জারি করেছিলেন। যে আইনে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অনধিকার প্রবেশ কঠোর করেছিলেন। যারা ঢুকে পড়ত তাদেরও দ্রæত ডিপোর্ট করার নির্দেশ দেন। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত ইউএস কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশনের এজেন্টরা ৩ বছরে ৩ মিলিয়ন বা ৩০ লক্ষ অবৈধকে ডিপোর্ট করেছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশন গত মাসে ৫০,০০০ এসাইলাম প্রার্থীর আবেদন প্রসেস করেছে যারা মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন ১,৪৫০ জন এসাইলাসপ্রার্থীর আবেদন প্রসেস করার কথা।