বড় বড় ক্লাবে ড্রেস কোড থাকে। হোটেলেও নানা পোশাক বিধি মানতে হয় কিছু ক্ষেত্রে। কিন্তু তা বলে আবাসন চত্বরেও পোশাক বিধি? তেমনটাই হয়েছে ভারতের গ্রেটার নয়ডাতে। গ্রেটার নয়ডার হিমসাগর অ্যাপার্টমেন্টে রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্য়াসোসিয়েশন তাদের আবাসিকদের অনুরোধ করেছে, লুঙ্গি আর নাইটি পরে আবাসন চত্বরে ঘোরাঘুরি করবেন না।
এ নিয়ে সার্কুলারও জারি করেছে। কিন্তু এই নির্দেশ মানতে পারছেন না কয়েকজন। এ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এদিকে আবাসনের কমিটির দাবি, পার্কে, আবাসন চত্বরে কয়েকজন আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকেন বলে নানা অভিযোগ এসেছিল। এরপরই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
এরপরই বলা হয় লুঙ্গি বা নাইটি পরে আবাসন চত্বরে হাঁটবেন না। কিন্তু অনেকের মতে এই নির্দেশ মানা যায় না। তবে আবাসনের সোসাইটির মতে, এটা নির্দেশ নয়, পরামর্শ।
এদিকে সোসাইটির এক সদস্যের মতে, এই ধরনের নির্দেশ মানা সম্ভব নয়।অপর এক আবাসিকের দাবি, যে ধরনের পোশাক বিধির কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এটা মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার শামিল।
এদিকে গ্রেটার নয়ডা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছেও এ নিয়ে অভিযোগ আসে। অনেকেই এনিয়ে প্রতিবাদ জানান।
তবে শেষ পর্যন্ত এই নোটিশ প্রত্যাহার করে আবাসন সোসাইটি। জানানো হয়েছে কয়েকজন লুঙ্গি পরে আপত্তিকর অবস্থায় পার্কে বসে থাকতেন বলে অভিযোগ এসেছিল। তারপরই এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরই এনিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কাউকে জোর করা হয়নি। তবে কারোর আপত্তি থাকলে নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে।
তবে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই লুঙ্গি পরে থাকেন। তাতেই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন তারা। সেক্ষেত্রে এভাবে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কতটা যুক্তিসংগত? তবে এনিয়ে তীব্র আপত্তি উঠেছে। এরপরই সেই নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নানা মহলে এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অনেকের মতে, অনেক সময়ই সোসাইটির কর্তারা নানা নির্দেশ চাপিয়ে দেন আবাসিকদের উপর। তবে এভাবে লুঙ্গি বা নাইটি পরে হাঁটতে বারণ করাটা কতটা যুক্তিসংগত সেটা দেখাও দরকার। কারণ এই ধরণের পোশাক বাইরে পরা নিষিদ্ধ এটা কোথাও বলা নেই।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস