আফগানিস্তানে নারীদের বিউটি সেলুন বা বিউটি পারলার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এক মৌখিক আদেশ দিয়েছেন। দেশটির নীতি ও নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর এনডিটিভির।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আকিফ মাহাজার কাবুলভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল তোলো নিউজকে বলেন, রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানজুড়ে এ আদেশ কার্যকর করা হবে।
এ আদেশ অনুযায়ী নতুন করে কোনো বিউটি পার্লারকে লাইসেন্স দেওয়া হবে না। আর চলমান বিউটি পার্লারগুলো ১০ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। বাতিল করা হবে আগের দেওয়া লাইসেন্স।
নীতি ও নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আকিফ মাহাজার আরও জানান, এরই মধ্যে কাবুল পৌরসভাকে নারীদের রূপচর্চাকেন্দ্রগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে বলা হয়েছে।
রায়হান মুবারিজ পেশায় মেকআপ শিল্পী। তিনি বলেন, ‘অনেক পুরুষের চাকরি নেই। এই পরিস্থিতিতে সংসারের হাল ধরতে নারীদের চাকরি করতে হচ্ছে। অনেকে বিউটি সেলুনে কাজ খুঁজে নিয়েছেন। এখন যদি বিউটি সেলুন বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা কী করবেন?’
রায়হান মুবারিজ আরও বলেন, ‘পুরুষদের চাকরি থাকলে আমরা বাড়ি থেকে বের হব না। এ ছাড়া আমরা আর কী করতে পারি? না খেয়ে মরতে হবে। আপনরা চান আমরা মরে যাই?’
নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর তালেবান প্রশাসন নারীদের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। এরই মধ্যে নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্রের দরজাও নারীদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কার্যক্রম। আন্তর্জাতিক মহলে তালেবান সরকারের এসব পদক্ষেপ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।