মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

আপনি কি পাইলট হতে চান

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

ছোটবেলায় বিমান উড়তে দেখে সবারই বিমানে উড়তে মন চায়। কিন্তু ইচ্ছা বা সামর্থ না থাকার কারনে বড় হয়ে তা আর হয়ে উঠে না।
আপনি যদি বিমান চালাতে চান বা বিমানের পাইলট হতে চা তাহলে আপনার কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে এবং কত টাকা লাগবে তা সম্পর্কে একটি ধারনা দিচ্ছি।

একজন কমার্শিয়াল পাইলট দেশের অভ্যন্তর বা আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। আমাদের দেশে তরুনদের মধ্যে বিশেষ করে তরুন-তরুনীদের মধ্যে এই পেশা খুবই জনপ্রিয়। এই পেশায় আসতে গেলে আপনাকে কি করতে হবে সে ব্যাপারে সাম্যক ধারনা দিচ্ছি।

প্রথমেই চলুন জেনে নেই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি হতে হবে। সর্বনি¤œ শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাইন্স গ্রæপ হতে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সিতে ২য় বিভাগে পাশ করতে হবে। অবশ্যই অংক, ফিজিক্স এবং কেমিষ্ট্রি সাবজেক্ট থাকতে হবে। ইংলিশ মিডিয়াম হলে ও লেভেল বা এ লেভেল পাশ করতে হবে আর আপনাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে।

আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে ভাল। উক্ত যোগ্যতা থাকলে পাইলট ট্রেনিং স্কুলে আপনাকে ২ ঘন্টার একটা লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। যেখানে প্রশ্ন থাকবে এইচ.এস.সি এবং এস.এস.সি অংক, ফিজিক্স, কেমিষ্ট্রি এবং ইংলিশ থেকে প্রশ্ন করা হবে।

এরপর আপনাকে একটি মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে, যেহেতু আপনি একজন পাইলট হতে চলেছেন তাই আপনাকে অবশ্যই স্পোকেন ইংলিশে ভাল হতে হবে। কারন কর্মক্ষেত্রে আপনার যোগাযোগের ভাষা হবে ইংলিশ।

এরপর আপনাকে ফিটনেস টেস্ট এবং মেডিকেল টেষ্ট দিতে হবে এবং এটি খুবই জরুরী একটা বিষয়। কারন একজন পাইলটের সব রকম শারীরিক যোগ্যতা থাকতে হবে। আর একারনেই আপনাকে মেডিকেল টেষ্টে হতে হবে ফিট।

কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের কোর্স ১৮ মাস হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সিপিএল ট্রেনিং করতে ২৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়। গ্যালাক্সি ফ্লাইং ক্লাব এই কোর্সের জন্য ৩২ লাখ টাকা চার্জ করে থাকে। ট্রেনিং এর পর কৃতকার্যদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তখন তারা দেশি বিদেশি এয়ারলাইন্সে চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারে।

 

প্রথম দিকে ট্রেনিং অফিসার হিসেবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা বেতন হয়ে থাকে। বিদেশী এয়ারলাইন্স গুলো এই পেশায় একজন পাইলটকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বেতন দিয়ে থাকে। এই পেশায় ভবিষ্যত খুবই ভাল। বেতন ছাড়াও ফ্লাইট আওয়ারের উপর তারা একটা এলাউন্স পেয়ে থাকে। কোন কোন সময় তা বেতনের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

যদিও কমার্শিয়াল পাইলট হতে অনেক টাকা খরচ হয় কিন্তু আপনি এটা কয়েক বছর চাকরী করেই তা উপার্জন করতে পারবেন।

কোর্স কারিকুলামঃ

১। এস পি এল (স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স) যেখানে আপনাকে এয়ার নেভিগেশন এবং এয়ার ক্রাফট ইঞ্জিন সম্পর্কে সাম্যক ধারনা দেওয়া হবে।

২। পিপি এলঃ (প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স) যেখানে আপনাকে ৬০ ঘন্টা বিমান চালনা করতে হবে।

৩। সিপিএলঃ (কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স) যেখানে আপনাকে ২৫০ ঘন্টা বিমান চালনা করতে হবে।

এরপর আপনার আবার মেডিকেল টেষ্ট হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তারপর আপনাকে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে আপনি একজন পেশাদার পাইলট হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।

এবার আসি আমারা যারা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখি কিন্তু এত টাকা খরচ করে পাইলট ট্রেনিং নেওয়ার ক্ষমতা বা যোগ্যতা যাদের নেই। তাদের স্বপ্ন পূরনের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের একটি অভূতপূর্ব সুযোগ।

আপনি যদি বাংলাদেশ এয়ারফোর্সে পাইলট হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। তাহলে বাংলাদেশ সরকার ট্রেনিং এর সমস্ত খরচ বহন করবে এবং আপনার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com