ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত ফাইল নিজে নিজে না করে অভিজ্ঞ ও সফল আইনজীবীকে দিয়ে করানো ভালো। নিজে নিজে ফাইল করলে অনেক সময় ভুল হতে পারে। অভিজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে ফাইল না করালে পরবর্তী সময়ে জটিলতা এড়ানো কঠিন হয়ে যায়। তাই অভিজ্ঞদের দিয়ে ফাইল করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, অ্যাসাইলাম কেসের ক্ষেত্রে এ ধরণের ঘটনা হচ্ছে। ভুল ফর্ম কিংবা আগের ফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কয়েক মাস পর আবেদন রিজেক্ট হচ্ছে। আবেদনের সঙ্গে যত কপি ফর্ম দিতে হবে, তা না দিয়ে কম দেওয়া হচ্ছে। ফলে আবেদন বাতিল হচ্ছে। আর আবেদন বাতিল হলে এ জন্য জমা দেওয়া ফি কিন্তু ফেরত দেবে না ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে আবেদন বাতিল হলে আবার নতুন করে ফাইল করতে হবে এবং তাতে লিখতে হবে যে তিনি আগেও ফাইল করেছিলেন। নতুন ফাইল করার সময় নতুন করে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য ফি দিতে হবে। তবে গত ১০ বছরের মধ্যে যাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়েছে, সেসব আবেদনকারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নতুন করে নেওয়া হচ্ছে না। রিসিভ লেটারের সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে তার বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে না। আগে অনেকেই যে ক্যাটাগরিতে আবেদন করছেন ওই ক্যাটাগরির ফর্মের ফি ও ফ্রিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য একসঙ্গে চেক, মানি অর্ডার দিতেন। এখন আর এভাবে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। কারণ এখন আবেদন ফর্ম ও বায়োমেট্রিক ফি আলাদা করে জমা দিতে হয়। ফলে আবেদনকারীকে আলাদা নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। ফি চেক, মানি অর্ডার কিংবা ক্রেডিট কার্ডে দিলেও আলাদা করে দিতে হবে। উল্লেখ্য, এখন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন আবেদনের ফি পরিশোধ করা যায়। সে জন্য আলাদা একটি ফর্ম রয়েছে, সেটি পূরণ করতে হবে।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জান্নাতুল রুমা বলেন, কিছু অর্থ বাঁচানোর জন্য নিজে নিজে অথবা যাকে-তাকে দিয়ে কিংবা অনুমোদিত নয় এমন মানুষকে দিয়ে ফাইল না করানোই উচিত। কিছু ফি গেলেও আইনজীবীর অফিসের মাধ্যমে ফাইল করানো ভালো।
তিনি আরও বলেন, আবেদনকারী যেখানেই ফাইল করান না কেন ফর্ম সাইন করার আগে অবশ্যই ভালো করে পড়ে দেখবেন। তারিখসহ সবকিছু সঠিক আছে কি না তা দেখার পর সাইন করতে হবে। কারণ আইনজীবীর অফিসের মাধ্যমে ফাইল করার পরও ভুল হওয়ার নজির রয়েছে। সেখানেও অনেক সময় দেখা যায় ভুল ফর্ম ফিলআপ করা হয়, ফর্ম পূরণ করার সময় অনেক তথ্যে গরমিল হয়। আবার টাইপিংয়েও মিসটেক হয়।
অনেক সময় ক্লায়েন্টের সাইন আগে করিয়ে রাখার কারণে ফর্মে টাইপিং মিসটেকগুলো থেকে যায়। আবেদনকারী সরল বিশ্বাসে স্বাক্ষর করে দেন। পরে যখন ফর্ম হাতে পান, তখন দেখা যায় তারিখ কিংবা তথ্যে গরমিল রয়েছে। কোনো তথ্য ভুল হলে তা সংশোধন করা ভীষণ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করলে পরবর্তী সময়ে জটিলতা তৈরি হলেও তা থেকে বাঁচার উপায় থাকে। তাই অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত যেকোনো ফাইল করা উচিত।