সউদী আরব সরকার রিয়াদে মুরাব্বা ডাউনটাউন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে মুকাব নামে একটি ৪০০ মিটার উচ্চতা যুক্ত কিউব আকৃতির গগনচুম্বী ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় রিয়াদের উত্তর-পশ্চিমে নির্মিত, ১৯ বর্গ-কিলোমিটারের উন্নয়নটি সউদী রাজধানী শহরের জন্য একটি নতুন কেন্দ্রীয় এলাকা হিসাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ‘রিয়াদের নতুন মুখ’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে এই অঞ্চলটিকে।
এটি মুকাব কাঠামোর চারপাশে নির্মিত হবে, যা বিশ্বের বৃহত্তম নির্মিত কাঠামো হিসাবে রেকর্ড গড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বিল্ডিংটি ৪০০ মিটার উঁচু হবে, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সুপারটল স্কাইস্ক্যাপার হবে। এর প্রতিটি পাশ ৪০০ মিটার লম্বা হবে। এটি তৈরি সম্পূর্ণ হলে শহরের সবচেয়ে উঁচু ভবনে পরিণত হবে। মডার্ন নাজদি আরকিটেকচার স্টাইল-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কিউব-আকৃতির বিল্ডিংটি ওভারল্যাপিং ত্রিভুজাকার ফর্মগুলির একটি সম্মুখভাগে আবদ্ধ থাকবে। এতে দুই মিলিয়ন বর্গ মিটার দোকান, সাংস্কৃতিক ও পর্যটক আকর্ষণ থাকবে এবং প্রায় পূর্ণ-উচ্চতার অ্যাট্রিয়াম স্পেস থাকবে যেখানে একটি টাওয়ার থাকবে
সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, নবগঠিত নিউ মুরাব্বা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান। এই বৃহৎ প্রকল্পটিতে ১ লাখের বেশি আবাসিক ইউনিট এবং ৯,০০০ হোটেল ঘর এবং ৯ লাখ ৮০ হাজার বর্গ মিটারের বেশি দোকান এবং ১৪ লাখ বর্গ মিটার অফিস স্পেস থাকবে। এতে ৮০টি বিনোদন ও সংস্কৃতিক স্থান, প্রযুক্তি ও নকশা বিশ্ববিদ্যালয়, একটি বহুমুখী নিমজ্জিত থিয়েটার এবং একটি ‘আইকনিক’ যাদুঘর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সউদী আরব সরকারের মতে, প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এটি বর্তমানে সউদী আরবে তৈরি করা বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের মধ্যে একটি যা সউদী ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে তার পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের অর্থায়নে দেশের অর্থনীতিকে বৈচির্ত্যময় করার জন্য করা হচ্ছে।
এই সউদী প্রকল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং সবচেয়ে বিতর্কিত নাম ১৭০-কিলোমিটার-দীর্ঘ দ্য লাইন মেগাসিটি। প্রকল্পটি এর পরিবেশগত প্রভাব এবং উন্নয়নের সাথে যুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জন্য সমালোচিত হয়েছে। এই বিষয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পিটার ফ্রাঙ্কেনটাল বলেছেন যে, নিওমে কাজ করা সংস্থাগুলি একটি ‘নৈতিক দ্বিধা’র সম্মুখীন হয়েছে এবং তাদের এই প্রকল্পে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে ‘দুবার চিন্তা করা’ উচিত। নিউ মুরাবার মাধ্যমে সউদীর অর্থনীতিতে পাঁচ হাজার কোটি ডলার যোগ করবে। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৩ লাখ ৩৪ হাজার মানুষের। প্রকল্পটির কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র : রবরিপোর্ট।