২০২৪ সালের জন্য ‘ভারতের ১০০ ধনীর’ তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। এই তালিকায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান মুকেশ আম্বানি প্রথম স্থানে এবং আদানি গ্রুপের মালিক গৌতম আদানি দ্বিতীয় স্থানে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন। তবে এই তালিকায় টাটা সন্সের সম্মানিত চেয়ারম্যান রতন টাটার নাম নেই।
তালিকা অনুযায়ী, ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ একযোগে এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে তা ১.১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর কারণ হিসেবে ম্যাগাজিনটি দাবি করেছে যে আইপিও এবং মিউচুয়াল ফান্ডসহ শক্তিশালী শেয়ার বাজার ভারতের ধনীদের আরো ধনী করেছে। বিএসই সেনসেক্স গত বছর থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
এরই ফলস্বরূপ, তালিকায় থাকা দেশের ৮০ শতাংশের বেশি ভারতীয় ধনীর সম্পদ ক্রমশ বেড়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জনের মোট সম্পদ বা নেট মূল্য এক বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি হয়ে গিয়েছে। একই সময়ে, এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত শীর্ষ ১২ জনের কাছে শীর্ষ ১০০ জনের মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
শীর্ষে আম্বানি, দ্বিতীয় আদানি
ফোর্বসের মতে, আম্বানি গত বছরে ২৭.৫ বিলিয়ন ডলার লাভ করেছেন, এর জন্যই এখন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং এমডি মুকেশ আম্বানির কাছে প্রায় ১১৯.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। তিনি তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন। সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের জন্য দিওয়ালি উপহার হিসেবে বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছেন বিশ্বের ১৩তম ধনী আম্বানি।
মুকেশ আম্বানির পর সেই তালিকায় রয়েছেন গৌতম আদানি এবং তার পরিবার। তার আনুমানিক সম্পদ ১১৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছরে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছেন আদানি গ্রুপের মালিক।
তৃতীয় সাবিত্রী জিন্দাল
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের সবচেয়ে ধনী নারী সাবিত্রী জিন্দাল ও তার পরিবার। ধাতু এবং খনির ব্যবসা থেকে তার আনুমানিক নেট মূল্য ৪৩.৭ বিলিয়ন ডলার। যেখানে এইচএলসি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান শিব নাদার ৪০.২ বিলিয়ন ডলারের আনুমানিক মূল্য নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। সান ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে দিলীপ সাংঘভি এবং তার পরিবার ৩২.৪ বিলিয়ন ডলার আনুমানিক নেট মূল্য নিয়ে শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন।
ভারতের বাকি ৫ সবচেয়ে বেশি ধনী শিল্পপতি কারা
শীর্ষ ১০-এ বাকি শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন রাধাকিশান দামানি এবং তার পরিবার, সুনীল মিত্তাল এবং তাঁর পরিবার, কুমার বিড়লা, সাইরাস পুনাওয়ালা এবং বাজাজ পরিবার।
রতন টাটার নাম কেন নেই
১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, টাটা গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সমাধানে কাজ করেছে। রতন টাটা বেশিভাগই চ্যারিটির কাজে ফোকাস করেছেন। তাই টাটা গ্রুপের মুনাফা তার ব্যক্তিগত সম্পদের অঙ্কটা খুব বেশি বাড়ায়নি।
উল্লেখ্য, এ বছর ফার্মা এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিকরা তালিকায় বড় জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের সাঙ্ঘভি, সুধীর মেহতা এবং সমীর মেহতা, প্রেস্টিজ এস্টেট প্রজেক্টের ইরফান রাজাক এবং গোদরেজ পরিবার। আর তালিকায় সবচেয়ে কম বয়সী ধনী শিল্পপতি হলেন ব্রোকারেজ প্ল্যাটফর্ম জেরোধার মালিক ৩৮ বছর বয়সী নিখিল কামাথ।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
Advertisement