হজ এবং ওমরাহ মৌসুমে কাজ করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছরই অস্থায়ীভাবে সৌদি আরবে যান শত শত মানুষ। অস্থায়ী কর্ম ভিসা নামের বিশেষ একধরনের ভিসা পরিষেবার আওতায় নেওয়া হয়ে এই অস্থায়ী শ্রমিকদের।
বুধবার রাজধানী রিয়াদে বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদির মন্ত্রিসভা। বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো ভিসার মেয়াদবৃদ্ধি। আগামী ২০২৫ সাল থেকে টেম্পোরারি ওয়িার্ক ভিসার মেয়াদ হবে ১৪ ফেব্রয়ারি থেকে ২৫ জুলাই— অর্থাৎ ৫ মাস ১১ দিন। আগে এই মেয়াদ ছিল তিন মাস।
এছাড়া এই ভিসায় যারা সৌদিতে আসবেন এবং বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে চাকরি নেবেন, সেই সব নিয়োগ অবশ্যই লিখিতভাবে হতে হবে এবং নিয়োগপত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ এবং কর্মী— উভয়েরই স্বাক্ষর থাকতে হবে। মূলত কর্মীদের সুরক্ষার জন্যই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রিসভায় গৃহীত তৃতীয় সিদ্ধান্তটি হলো, বাইরের দেশের যেসব আগ্রহীয় লোকজন অস্থায়ী ভিসার জন্য সৌদি দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করবেন— তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসা বিমা করাতে হবে এবং সেই বিমার নথিপত্রের অনুলিপি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
কোনো অস্থায়ী কর্মী যদি আইনলঙ্ঘণ করেন কিংবা ভিসার অপব্যবহার করেন তাহলে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সেই কর্মীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে সৌদির সরকার। এই সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
সৌদির বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েক বছর ধরে সৌদির যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন সরকার জ্বালানির বাইরের খাতগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ায় দিন দিন দেশটির অর্থনীতির আকার বাড়ছে, কিন্তু শ্রম ঘাটতির কারণে কাঙ্ক্ষিত গতি অর্জন করতে পারছে না অর্থনীতি। নতুন অস্থায়ী কর্মভিসা সেই সংকট অনেকখানি দূর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, মঙ্গলবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত গুলো কার্যকর হবে আগামী ১৮০ দিন পর থেকে।
সূত্র : আরব নিউজ