মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

কী ঘটতে চলেছে বাংলাদেশে? জরুরি বৈঠকে ভারতীয় নৌ সেনা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পড়শি দেশের অভ্যন্তরে এমন কিছু ঘটতে চলেছে যার ফলে ভারত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের (Bangladesh) ভিতরে পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে (Indian Navy) ভারতীয় নৌ সেনা। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে থাকা ভারত ও বাংলাদেশ অতি ঘনিষ্ঠ পড়শি। দুই দেশের উপকূল ও সাগর সীমারেখা মিশে আছে।

গত ৫ আগস্ট রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের ধাক্কায় বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে আশ্রিত। পড়শি দেশে চলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।

BBC জানিয়েছে, ভারত ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনার পতনের পর ড. ইউনূসের অম্তর্বর্তী সরকারকে ক্রমাগত কূটনৈতিক বন্ধুত্বের বার্তা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত বিদ্বেষী মনোভাব তুঙ্গে। ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য রাষ্ট্রসংঘে বিতর্ক তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

NDTV জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসছে ভারতীয় নৌ সেনা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে নয়াদিল্লিতে এই বৈঠক শুরু হবে।

ANI জানাচ্ছে, নয়াদিল্লির নতুন নৌ সদর দফতরে চার দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে প্রথম বৈঠক।

NDTV জানাচ্ছে, বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন এবং সেখানে চরম ও কট্টরপন্থি গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান প্রভাবে ভারত সরকার উদ্বেগে। এই বিষয়টি নৌসেনার বৈঠকে আলোচনার জন্য উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরেকটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হল চিনের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা এবং পাকিস্তানের সামরিক সহায়তা।

The Telegraph জানিয়েছে, সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে এবং অপ্রত্যাশিত যে কোনও কিছু মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (BSS) জানিয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ক্ষমা চাইতে হবে। এমনই বলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বিএনপি দলের শীর্ষ নেতা। গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে আওয়ামী লীগ। এরপর ফের বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি দল বিপুল শক্তি দেখাতে শুরু করেছে।

ঢাকার সংবাদপত্র ‘ইত্তেফাক’ জানাচ্ছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নিকট পড়শির অবস্থান নজর রাখছে। সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সীমান্তে কড়া পাহারান নির্দেশ দিয়েছেন। স্খলভাগে ভারতের সঙ্গেই সিংহভাগ সীমান্ত। মায়ানমারের সঙ্গে আছে কিছু সীমান্ত অংশ। উপকূল ও সমুদ্রে ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমারেখা আছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com