নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন, ফ্লাইটে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা। সেই সময়টাকেই কমিয়ে ৯০ মিনিটে আনতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সংস্থাটি এমন একটি বিমান নিয়ে কাজ করছে, যা ফ্লাইটের সময় অনেকটাই কমিয়ে দেবে। এটি কনকর্ড সুপারসনিক বিমানের উত্তরসূরি।
কনকর্ড হল একটি ব্রিটিশ-ফরাসি মালিকানাধীন টারবোজেট চালিত বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান। এটি 1976 থেকে 2003 সাল পর্যন্ত চালু ছিল। নাসার মতে, এই নতুন এয়ারক্রাফ্ট এতটাই দ্রুত হবে যে, এটি মাত্র 90 মিনিটে নিউইয়র্ক শহর থেকে লন্ডনে পৌঁছে যাবে। নাসা সম্প্রতি তাদের উচ্চ গতির এই কৌশলটি ঘোষণা করেছে। আর তা থেকেই জানা গিয়েছে যে, নিউইয়র্ক-লন্ডনের মধ্যে ফ্লাইটের সময় অনেকটাই কমে যাবে।
নাসা এই বিমান নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে এক্স-৫৯। সিএনএন ট্রাভেল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, নাসা শিগগিরই এটি চালু করবে। ২০২৩ সালের আগস্টে একটি ব্লগে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে যে, বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠে প্রতি ঘন্টায় ১৫৩৫ থেকে ৩০৪৫ মাইল বেগে উড়বে।
নাসা-এর এক্স-৫৯ একটি সুপারসনিক বিমান হতে চলেছে, যার উপর কাজ চলছে। সর্বশেষ আপডেটে জানা গিয়েছে, এটি ক্যালিফোর্নিয়ার পালান্ডেলে লকহিড মার্টিন স্কাঙ্ক ওয়ার্কস সুবিধার পেইন্ট ওয়্যারহাউসে পৌঁছেছে। রং হয়ে যাওয়ার পর যখন প্রথমবার এটি ওয়্যারহাউস (যেখানে বিমান রং করা হবে) থেকে বেরিয়ে আসবে, তখন সেই দৃশ্যটি দেখার মতো হবে। এমনকি মুহূর্তটি শ্বাসরুদ্ধকর হবে বললেও ভুল কিছু বলা হবে না।
কবে চালু হবে?
নাসা-এর QuessT (Quiet SuperSonic Technology) মিশন এক্স-৫৯ সুপারসনিক বিমানের প্রথম ফ্লাইট ২০২৪-এই হবে। তার মানে এজেন্সি ২০২৪ সালে এটির প্রথম ফ্লাইট চালু করবে। এটি একটি পরীক্ষামূলক উড়োজাহাজ, যা শব্দের গতির চেয়ে দ্রুত ছুটবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিমানটিকে নাসা এর QuessT (Quiet SuperSonic Technology) মিশনের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়। শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলা এই বিমানগুলো কতদিনে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে রূপ