২০১৩ সালের শুরু থেকে ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসী ইটালিতে পৌঁছেছেন৷ ২০১৩ সাল থেকে ইটালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যের তুলনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে৷
সেই বছরই সিসিলিয়ান দ্বীপ লাম্পেদুসা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌকাডুবিতে ৩৬৮ মানুষ মারা গিয়েছিলেন৷ ছয় জন নারী ও দুই শিশুসহ মাত্র ১৫৫ জন যাত্রী বেঁচে ছিলেন৷
লাম্পেদুসার ইসোলা দেই কনিলির উপকূল থেকে কয়েক মাইল দূরে রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া এই ট্র্যাজেডির পর এই বিপজ্জনক অভিবাসন রুটে যাত্রার সংখ্যা কমেনি৷
ভূমধ্যসাগরে যাত্রা করা অভিবাসীদের অনেকে ইটালিতে পৌঁছালেও হাজার হাজার মানুষ সাগরে মারা গেছেন। বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ২৮ হাজারেরও বেশি অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন এক হাজার ১৪৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্কও।
২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে শতাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১২ হাজার অভিভাবকবিহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক সমুদ্রপথে ইটালিতে পৌঁছেছেন। এই বছর এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ছয়শ জনেরও বেশি অভিভাবকবিহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইটালিতে এসেছেন।
রেকর্ডের বছর ২০১৬
২০১৬ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসী ইটালিতে এসেছেন। সে বছর এক লাখ ৮১ হাজারেরও বেশি অভিবাসী দেশটিতে আসেন৷
২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিন বছর তুলনামূলক কম অভিবাসী ইটালি এসেছেন৷ ২০১৮ সালে এসেছিলেন ২৩ হাজার, ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪০০ জনের কাছাকাছি৷
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর এ সংখ্যা ৩৪ হাজারে পৌঁছায়। তার পর থেকে প্রতি বছর অভিবাসী আগমনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
অভিবাসীদের আসার হার বৃদ্ধির বিষয়টি প্রায়ই যুদ্ধ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে সম্পর্কিত।
